রবিবার, ১৭ আগস্ট ২০২৫, ২ ভাদ্র ১৪৩২
ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৯ মার্চ ২০২৪, ১২:৪৬ পিএম
আপডেট : ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৩:২৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

হাসপাতালের ভেতরেই গাঁজার বাগান!

ফরিদপুর সদর হাসপাতাল আঙিনায় বেড়ে ওঠা গাঁজা গাছ। ছবি : কালবেলা
ফরিদপুর সদর হাসপাতাল আঙিনায় বেড়ে ওঠা গাঁজা গাছ। ছবি : কালবেলা

প্রথম দেখায় মনে হতে পারে জরাজীর্ণ ফুলের বাগান। তবে অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি ফরিদপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত জেনারেল হাসপাতালটির অভ্যন্তরে প্রকাশ্যেই এভাবে বেড়ে উঠেছে কয়েকশ’ গাঁজার গাছ। দিনের পর দিন সবার সামনে গজিয়ে ওঠা এই গাঁজার গাছ দেখার যেন কেউ নেই। যা রীতিমতো পরিণত হয়েছে একটি গাঁজার বাগানে। সপ্তাহ কিংবা মাস নয়, বছরের পর বছর ধরে না কি এভাবেই গাঁজা গাছগুলো বেড়ে উঠেছে হাসপাতাল চত্বরে।

একশো বছরের প্রাচীন এই হাসপাতালটি গত কয়েক বছর ধরে নানা সমস্যায় ধুঁকছে। তারপরও জেলা সদরের এই হাসপাতালটিতেই রয়েছে রোগীদের ভিড়। এখানে প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে আসেন কয়েকশ রোগী। চিকিৎিসকরা হিমশিম খান রোগীদের সেবা দিতে। হয়তো এ কারণেই কর্তৃপক্ষের ভালোভাবে নজর দেওয়ার ফুরসৎও মিলছে না হাসপাতালের দিকে। আর এ কারণেই হয়তো হাসপাতালের অভ্যন্তরে চলাচলের রাস্তার পাশেই গড়ে উঠেছে একের পর এক গাঁজার গাছ।

সরেজমিনে দেখা যায়, ফরিদপুর সদর জেনারেল হাসপাতালের উত্তর দিকে স্টাফ কোয়ার্টারের পথের দুই ধারে এবং হাসপাতাল থেকে মসজিদে যেতে পথের ধারে প্রকাশ্যে শত শত গাঁজার গাছের বেড়ে উঠেছে।

হাসপাতালের স্টাফ কোয়ার্টারের বাসিন্দারা জানালেন, প্রায় চার-পাঁচ বছর ধরে এই গাঁজার গাছগুলো বেড়ে উঠেছে। আগে আরও ছিল। অনেক গাছ কেটে তারা পরিষ্কার করেছেন। তারপর আবারও হয়েছে। সবার সামনেই বেড়ে উঠেছে। কিছু ছেলেপুলে এগুলো ছিঁড়ে নিয়ে রস করে খায় বলে তাদের জানিয়েছে।

এ ব্যাপারে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. গনেশ কুমার আগরওয়ালা বলেন, গাঁজার গাছ কেমন হয় তাও আমার জানা নেই। তবে দেখে যদি সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ফরিদপুর কার্যালয়ের উপপরিচালক শামীম হোসেন কালবেলাকে বলেন, সংবাদ পাওয়ার পর নিজে হাসপাতাল চত্বরে গিয়েছিলাম। গাছগুলো দেখেছি, পরীক্ষা নিরীক্ষা করা ছাড়া আসলে কী গাছ বলা কঠিন। গাছগুলো ছোট এ কারণে সঠিক বলা যাচ্ছে না। তবে ভাং গাছও হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. সিদ্দিকুর রহমান কালবেলাকে জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। তা ছাড়া আমি গাঁজার গাছ জীবনে দেখিনি। গাছগুলো কাটার জন্য বলা হয়েছে। মাঝে-মধ্যেই গাছগুলো কাটা হয়। আবার এমনিতেই গজিয়ে যায়। সময়মতো লেবার না পাওয়ায় এবার কাটতে দেরি হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নির্বাচিত সরকার ছাড়া এক ডলারও বিনিয়োগ আসবে না : বুলু

রাবি ছাত্রদলের তিন নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার 

জয় দিয়ে লা লিগা অভিযান শুরু বার্সেলোনার

সিলেটে হচ্ছে বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট

নতুন মৌসুমে ম্যানসিটির দাপুটে শুরু

১১ বছরের শিশু চালাচ্ছিল ভ্যান, উল্টে প্রাণ গেল দাদা-নাতির

শিক্ষাকে ব্যবসা নয়, সেবায় রূপান্তর করতে হবে : আমিনুল হক

দেশে আরেকটা বিপ্লব হতে পারে : রেজা কিবরিয়া

অক্টোবরে দুবাইতে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান সিরিজ

হঠাৎ অসুস্থ উপদেষ্টা ফারুকী, হেলিকপ্টারে ঢাকায় প্রেরণ 

১০

শেখ হাসিনার থেকে শিশুরাও রক্ষা পায়নি : এ্যানি

১১

হজ কার্যক্রমে অংশগ্রহণের অনুমতি পেল ৩৩ বাণিজ্যিক ব্যাংক

১২

আমরণ অনশনে অসুস্থ রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ শিক্ষার্থী

১৩

পিআরে নির্বাচন হলে ৫৪ বছরের কলঙ্ক মুক্ত হবে : ডা. তাহের

১৪

৯ দফা দাবি রাবি শিক্ষক-কর্মকর্তাদের

১৫

‘এক বাড়ির এতগুলো কবর খোঁড়ার কাম আগে কোনোদিন করিনি’

১৬

কে কাকে দিয়ে ক্ষমতায় আসবেন সেই প্রতিযোগিতা ভুলে যান : রেজাউল করিম

১৭

‘জয় বাংলা’ গানে বিভ্রান্তি, আ.লীগ ভেবে ছাত্র-জনতার অনুষ্ঠানে হামলা

১৮

রাজধানীতে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করবে ইসলামী আন্দোলন, তারিখ ঘোষণা

১৯

চিকিৎসা পেশা নিয়ে মন্তব্যের জন্য ড. আসিফ নজরুলকে ক্ষমা চাইতে হবে : ড্যাব

২০
X