বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২১ মার্চ ২০২৪, ০৯:৪৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

চরমে গো খাদ্যের সংকট

পানির অভাবে হচ্ছে না ঘাস। ছবি : কালবেলা
পানির অভাবে হচ্ছে না ঘাস। ছবি : কালবেলা

কলাপাড়ায় খরার কারণে বিল ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। বৃষ্টির অভাবে বিলের ঘাস মরে গেছে। নতুন ঘাস জন্মাতে পারছে না। ফলে দিনে দিনে গো খাদ্যের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। গরু, মহিষ ও ছাগল রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ছে। পুষ্টিহীনতায় ভুগছে এখানকার গবাদিপশু। বিপাকে স্থানীয় কৃষকরা ও খামারিরা।

কৃষকদের ভাষ্যমতে, আমরা পারিবারিক খামারে গবাদি পশু পালন করি। এখানকার বিলে ছেড়ে গবাদি পশুদের ঘাস খাওয়াতে পারি। কিন্তু কয়েকবছর ধরে সঠিক সময়ে বৃষ্টির দেখা না মেলায় বিলের ঘাস মরে যায়। খালের পানি শুকিয়ে যায়। ফলে ঘাস ও পানির অভাবে আমাদের গবাদি পশু দিনে দিনে রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ে ও পুষ্টিহীনতায় ভোগে।

কৃষকরা বলেন, বিলে ঘাস নাই। বাজার থেকে ফিড কিনে খাওয়াবো সেটাও সম্ভব না। ফিডের আকাশ ছোয়া দাম। এত টাকা দিয়ে খাবার কিনে লাভ হবে না, বরং লস হবে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ, মহিপুর, লতাচাপলি ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের বিল ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। লতাপাতা সব শুকনো। খালের পানি শুকিয়ে গেছে। বিলে কোথাও কোনো নতুন ঘাস উৎপাদন হচ্ছে না। কিছু কিছু খালের গভীরতা কম আবার কিছু খাল দখল হওয়ার ফলে একেবারেই নিস্তেজ।

একদিকে যেমন গো খাদ্যের সংকট চরমে অন্যদিকে বাজারে থেকে কিনে গো খাদ্যের সামাল দেওয়া চরম কষ্টের। দিনে দিনে গবাদি পশু প্রজননের ক্ষমতা হারাচ্ছে। অপুষ্টিতে ভুগছে, রোগবালাই বাড়ছে। সব মিলিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন এখানকার কৃষকরা ও খামারিরা।

নীলগঞ্জ ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. অহিদুজ্জামান ইয়াকুব বলেন, বিলে ঘাস নেই। রোদে বিল ফেটে গেছে। ঘাস যাও আছে তা মারা যাচ্ছে। গরু ছাগলের খাবারের সংকট তীব্র হচ্ছে।

একই এলাকার বাসিন্দা মো. জাকির হাওলাদার বলেন, আমি মহিষ পালন করি। একটা মহিষের প্রতিদিন ২ মণ খাবার ও ১ মণ পানির প্রয়োজন হয়। আমার প্রায় ৩০টি মহিষ আছে। পুরো দিন ঘাস খাওয়ালেও অর্ধেক পেট ভরে না, এখন পানিও পাওয়া যায় না।

স্থানীয় গবাদি পশু চিকিৎসক আবু সাঈদ জানান, খাদ্য ও চিকিৎসা ব্যবস্থা সহজলভ্য হলে গবাদি পশু পালনে আগ্রহ বাড়বে স্থানীয় কৃষকদের। তবে খাদ্যের অভাবে গবাদি পশু পালনে বিমুখ হচ্ছে খামারিরা ও স্থানীয় কৃষকরা।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার মো. ফজলুল হক সরদার বলেন, কলাপাড়া উপজেলায় অসংখ্য মহিষ ও গো খামার আছে। এ ছাড়াও পারিবারিক খামারেও অনেক গবাদি পশু পালন হচ্ছে। এসব খামারিরা নিজেরা ঘাস উৎপাদন করে এবং বাজার থেকে খাবার কিনে চাহিদা মিটায়। তবে বৃষ্টি না হওয়ার কারণে অনেক খাদ্য সংকট আছে। মুজিব কিল্লায় কিংবা পরিত্যক্ত বনজঙ্গলে ঘাস উৎপাদন নিয়ে আমাদের চিন্তা আছে। খুব শিগগিরই এ ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইঞ্জিন সংকটে ‘নাজুক’ রেল অপারেশন

স্পেনে রিয়ালের আর্জেন্টাইন তারকাকে নিয়ে অদ্ভুত বিতর্ক

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব হলেন আবু তাহের

মানবিক ড্রাইভার গড়তে নারায়ণগঞ্জে ডিসির যুগান্তকারী উদ্যোগ

গৃহকর্মীদের অধিকার সুরক্ষায় জাতীয় পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত

পিএসসি সদস্য হলেন অধ্যাপক শাহীন চৌধুরী

রিয়ালের হয়ে ইতিহাস গড়লেন আর্জেন্টিনার ‘মাস্তান’

দাম্পত্য কলহ এড়ানোর সহজ ৫ উপায়

‘গণতন্ত্রের জন্য আরও কঠিন পথ পাড়ি দিতে হতে পারে’

আর্থিক খাত নিয়ে খারাপ খবর দিলেন গভর্নর

১০

পৌরসভার ফাইল নিয়ে দুই কর্মকর্তার হাতাহাতি

১১

কর্মস্থলে ‘অনুপস্থিত’, এবার পুলিশের ২ এসপি বরখাস্ত

১২

এশিয়া কাপ দল নিয়ে তোপের মুখে বিসিসিআই

১৩

নারী-শিশুসহ ছয় ভারতীয় নাগরিক আটক

১৪

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের জন্য সব প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার : উপদেষ্টা আসিফ

১৫

পিয়াইন নদীতে অবাধে বালু লুট, হুমকিতে বসতবাড়ি 

১৬

সোনালী ও জনতা ব্যাংকের অফিসার পদের ফল প্রকাশ

১৭

নরসিংদীতে একজনকে কুপিয়ে হত্যা

১৮

হোয়াটসঅ্যাপে নতুন কৌশলে অর্থ চুরি, যেভাবে নিরাপদ থাকবেন

১৯

টিটিইসহ ৫ জন আসামি / তিন মাসেও শেষ হয়নি ট্রেন থেকে ফেলে হত্যার তদন্ত

২০
X