কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২১ মার্চ ২০২৪, ০৯:৪৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

চরমে গো খাদ্যের সংকট

পানির অভাবে হচ্ছে না ঘাস। ছবি : কালবেলা
পানির অভাবে হচ্ছে না ঘাস। ছবি : কালবেলা

কলাপাড়ায় খরার কারণে বিল ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। বৃষ্টির অভাবে বিলের ঘাস মরে গেছে। নতুন ঘাস জন্মাতে পারছে না। ফলে দিনে দিনে গো খাদ্যের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। গরু, মহিষ ও ছাগল রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ছে। পুষ্টিহীনতায় ভুগছে এখানকার গবাদিপশু। বিপাকে স্থানীয় কৃষকরা ও খামারিরা।

কৃষকদের ভাষ্যমতে, আমরা পারিবারিক খামারে গবাদি পশু পালন করি। এখানকার বিলে ছেড়ে গবাদি পশুদের ঘাস খাওয়াতে পারি। কিন্তু কয়েকবছর ধরে সঠিক সময়ে বৃষ্টির দেখা না মেলায় বিলের ঘাস মরে যায়। খালের পানি শুকিয়ে যায়। ফলে ঘাস ও পানির অভাবে আমাদের গবাদি পশু দিনে দিনে রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ে ও পুষ্টিহীনতায় ভোগে।

কৃষকরা বলেন, বিলে ঘাস নাই। বাজার থেকে ফিড কিনে খাওয়াবো সেটাও সম্ভব না। ফিডের আকাশ ছোয়া দাম। এত টাকা দিয়ে খাবার কিনে লাভ হবে না, বরং লস হবে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ, মহিপুর, লতাচাপলি ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের বিল ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। লতাপাতা সব শুকনো। খালের পানি শুকিয়ে গেছে। বিলে কোথাও কোনো নতুন ঘাস উৎপাদন হচ্ছে না। কিছু কিছু খালের গভীরতা কম আবার কিছু খাল দখল হওয়ার ফলে একেবারেই নিস্তেজ।

একদিকে যেমন গো খাদ্যের সংকট চরমে অন্যদিকে বাজারে থেকে কিনে গো খাদ্যের সামাল দেওয়া চরম কষ্টের। দিনে দিনে গবাদি পশু প্রজননের ক্ষমতা হারাচ্ছে। অপুষ্টিতে ভুগছে, রোগবালাই বাড়ছে। সব মিলিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন এখানকার কৃষকরা ও খামারিরা।

নীলগঞ্জ ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. অহিদুজ্জামান ইয়াকুব বলেন, বিলে ঘাস নেই। রোদে বিল ফেটে গেছে। ঘাস যাও আছে তা মারা যাচ্ছে। গরু ছাগলের খাবারের সংকট তীব্র হচ্ছে।

একই এলাকার বাসিন্দা মো. জাকির হাওলাদার বলেন, আমি মহিষ পালন করি। একটা মহিষের প্রতিদিন ২ মণ খাবার ও ১ মণ পানির প্রয়োজন হয়। আমার প্রায় ৩০টি মহিষ আছে। পুরো দিন ঘাস খাওয়ালেও অর্ধেক পেট ভরে না, এখন পানিও পাওয়া যায় না।

স্থানীয় গবাদি পশু চিকিৎসক আবু সাঈদ জানান, খাদ্য ও চিকিৎসা ব্যবস্থা সহজলভ্য হলে গবাদি পশু পালনে আগ্রহ বাড়বে স্থানীয় কৃষকদের। তবে খাদ্যের অভাবে গবাদি পশু পালনে বিমুখ হচ্ছে খামারিরা ও স্থানীয় কৃষকরা।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার মো. ফজলুল হক সরদার বলেন, কলাপাড়া উপজেলায় অসংখ্য মহিষ ও গো খামার আছে। এ ছাড়াও পারিবারিক খামারেও অনেক গবাদি পশু পালন হচ্ছে। এসব খামারিরা নিজেরা ঘাস উৎপাদন করে এবং বাজার থেকে খাবার কিনে চাহিদা মিটায়। তবে বৃষ্টি না হওয়ার কারণে অনেক খাদ্য সংকট আছে। মুজিব কিল্লায় কিংবা পরিত্যক্ত বনজঙ্গলে ঘাস উৎপাদন নিয়ে আমাদের চিন্তা আছে। খুব শিগগিরই এ ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঢাকায় বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অফিসের বার্তা

প্রতি গাছে ৬০০ টাকা ব্যয়, ডিসির প্রকল্পে ‘নয়ছয়’!

অক্টোবরজুড়ে থাকতে পারে ভ্যাপসা গরমের দাপট

গাজা যুদ্ধবিরতিতে উভয়পক্ষ একমত হয়েছে : ট্রাম্প

পুলিশের কাছ থেকে মাদক ব্যবসায়ীকে ছিনতাই, এসআইসহ আহত ২

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

বিক্ষোভে অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট

বৃহস্পতিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

০৯ অক্টোবর : আজকের নামাজের সময়সূচি

একাধিক দেশের পাসপোর্টধারীরাই ‘সেফ এক্সিটের’ তালিকা করে: আসিফ মাহমুদ

১০

শহিদুল আলমের মুক্তির জন্য সোচ্চার হতে হবে : তাসলিমা আখতার

১১

স্থানীয় সমস্যা সমাধানে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস আনোয়ারুজ্জামানের

১২

সবাইকে নিয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব: নীরব

১৩

‘হামজা আমার দলে হলে বেঞ্চেই বসে থাকত’

১৪

লন্ডনে টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়রের সঙ্গে বাসস চেয়ারম্যানের মতবিনিময়

১৫

আফগানদের কাছে হারার পর যা বললেন মিরাজ

১৬

অল্প পুঁজি নিয়ে আফগানদের সাথে পারল না বাংলাদেশ

১৭

‘দেশের সার্বিক উন্নয়নে প্রবীণদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে হবে’

১৮

রাবেতাতুল ওয়ায়েজীনের সঙ্গে সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত পরিষদের মতবিনিময়

১৯

ডিএনসিসি এলাকায় টাইফয়েডের টিকা পাবে ১৩ লাখ শিশু

২০
X