দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২২ মার্চ ২০২৪, ০১:৪২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আসলের ১০ গুণ পরিশোধ করেও শোধ হচ্ছে না ঋণ

গ্রাফিক্স : কালবেলা
গ্রাফিক্স : কালবেলা

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার পুরোনো হাউলী গ্রামে চলছে রমরমা সুদের ব্যবসা। সুদের ওপর নেওয়া মূল টাকার ৮-১০ গুণ টাকা বেশি ফেরত দিলেও শোধ হচ্ছে না ঋণ। বর্তমা‌নে সু‌দের টাকা দি‌তে না পারায় এলাকা ছে‌ড়ে পা‌লি‌য়ে বেড়া‌চ্ছেন ঋণ বা সু‌দে টাকা ধার নেওয়া ভুক্ত‌ভোগী ৮টি প‌রিবার।

এমন আজব সুদের ফাঁদে পড়ে গ্রামের অনেকেই সর্বস্বান্ত হয়েছেন। কেউ কেউ সুদের টাকার বোঝা টানতে না পেরে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে ৮ জন ভুক্তভোগী চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ডা. কিসিঞ্জার চাকমা ও পুলিশ সুপার আরএম ফয়জুর রহমান বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগকারীরা হলেন উপ‌জেলার হাউ‌লি গ্রামের বখতিয়ার হোসেনর স্ত্রী মোছা. রুবিনা খাতুন, আতর আলির স্ত্রী শাহিনা খাতুন, ছবদুলের স্ত্রী রমেলা খাতুন, আকু হোসেনের স্ত্রী সুরাইয়া খাতুন, রশিদুলের স্ত্রী ছালেহা খাতুন, বাহারুলের স্ত্রী ডলি খাতুন, খতিবের স্ত্রী সেলিনা খাতুন ও নাসির উদ্দীনের স্ত্রী শিউলি খাতুন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পুরোনো হাউলী গ্রামের করম আলির স্ত্রী সুদ ব্যবসায়ী লাখিয়া খাতুনের নিকট সাদা (ব্লাঙ্ক) ব্যাংক চেক জমা ‌দি‌য়ে একই গ্রামের শাহিনা খাতুন প্রতিমাসে ৮ হাজার টাকা সু‌দে ৫০ হাজার টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। এভা‌বে প্র‌তিমা‌সে সে সু‌দের কি‌স্তি‌তে ৩ লাখ ৩৬ হাজার টাকা দেওয়ার পরও ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দাবি করছে। একই গ্রামের সুরাইয়া খাতুন ৪০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে একইভাবে ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা পরিশোধ করার পরও ২ লাখ টাকা দাবি করছে। ডলি খাতুন ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ৪ লাখ টাকা পরিশোধ করার পরেও ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, রমেলা খাতুন ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করার পরও ৪ লাখ টাকা, রুবিনা খাতুন ২০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করেও আরো ৩ লাখ টাকা দাবি করে আসছে লা‌খিয়া খাতুন। এই টাকা পরিশোধ না করলে চেক ফেরত দেওয়া হবে না।

অভিযোগ পত্রে আরও উল্লেখ করেন, লাখিয়া খাতুন ভুক্তভোগীদের নিকট থেকে কৌশলে বা হুমকিধমকি দিয়ে জামানত হিসেবে বিভিন্ন ব্যাংকের চেক নিয়ে তাদেরকে জিম্মি করে রেখেছে। এ ছাড়াও সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে রেখে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখানোসহ মামলার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর এমন অভিযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উভয়পক্ষকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে লাখিয়া খাতুন কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। সে মুচলেকা দিয়ে চেক ও স্ট্যাম্প ফেরত দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সোমবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

১ সেপ্টেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

আজ বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, থাকছে যেসব কর্মসূচি

শিক্ষার্থীদের গালি দেওয়ার অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে

ফরিদপুরে দুদকের মামলায় খাদ্য কর্মকর্তা কারাগারে

বগুড়ায় স্ত্রীর মামলায় স্বামীর জেল-জরিমানা

‘ক্ষমতায় এলে নারীদের নামে ফ্যামিলি কার্ড দেবে বিএনপি’

হাওরে নির্মিত অলওয়েদার সড়কে পর্যাপ্ত কালভার্ট রাখা হয়নি : উপদেষ্টা ফরিদা আখতার

মুন্সীগঞ্জের গ্রামে ভয়াবহ আগুন

আহত চবি ছাত্রদের খোঁজ নিতে হাসপাতালে জামায়াত নেতারা

১০

পুলিশ দেখে নদীতে ঝাঁপ দেওয়া ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার

১১

ম্যাজিস্ট্রেটের সামনেই কালোবাজারে ট্রেনের টিকিট বিক্রি, কারাগারে রেলকর্মী

১২

মৌচাষ উন্নয়নে বিসিকের কার্যক্রম নিয়ে সেমিনার

১৩

নিশাঙ্কার শতকে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করল লঙ্কানরা

১৪

সিটির হারের পর রদ্রির হতাশ স্বীকারোক্তি: ‘আমি মেসি নই’

১৫

ঝড়ো ফিফটি করেও দলকে জেতাতে পারলেন না সাকিব

১৬

টঙ্গীতে ২ থানার ওসি একযোগে বদলি

১৭

তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণআকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব : হুমায়ূন কবির

১৮

সোবোশ্লাইয়ের দুর্দান্ত ফ্রি-কিকে আর্সেনালকে হারাল লিভারপুল

১৯

নেত্রকোনা জেলা বিএনপির সভাপতি আনোয়ার, সম্পাদক হিলালী

২০
X