ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস এবং ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে আলোকসজ্জা না করায় হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক শামিম আহমেদকে কারণ দর্শাতে (শোকজ) বলা হয়েছে।
বুধবার (২৭ মার্চ) বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল স্বাক্ষরিত চিঠিতে জাতীয় দিবস যথাযথভাবে পালন না করা প্রসঙ্গের কথা উল্লেখ করে বলা হয়, গত ১৭ মার্চ জাতির পিতার জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস এবং ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে সরকারি নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও ঝালকাঠি হাসপাতালে কোনো আলোকসজ্জা করা হয়নি। টানানো হয়নি ব্যানার।
জাতীয় দিবসে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করা কোনোভাবেই কাম্য নয় উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়েছে, কী কারণে যথাযথভাবে জাতীয় দিবস পালন করা হয়নি, তার সুস্পষ্ট জবাব তিন কর্মদিবসের মধ্যে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে দিতে হবে।
এ বিষয়ে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক শামিম আহমেদ বলেন, আমার কথা হাসপাতালের কেউ শোনে না। আমি তাদের ডাকলে বা চিঠি দিলেও কেউ আসে না। সবাই সিভিল সার্জনের কথা শোনে। তার কথা মতো সবাই চলে। আমার কথা কেউ শোনে না। আমার একার পক্ষে তো আলোকসজ্জা করা সম্ভব না। আমাকে যদি সবাই সাহায্য করে তাহলে সম্ভব। আমি একা কেমন করে করব।
তিনি আরও বলেন, যদি আমার ক্ষমতা থাকত তাহলে আমি এখান থেকে বদলি হয়ে চলে যেতাম। আমি এর আগে সব প্রোগ্রামে গেছি এবং হাসপাতালে পালন করছি। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন এবং ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে আমি কর্মচারী নিয়ে একা গিয়ে ফুল দিয়ে আসছি সেই ছবিও আমার কাছে আছে। আমি সবাইকে ডেকেছি কিন্তু কেউ আমার সঙ্গে যায়নি।
ঝালকাঠির সিভিল সার্জন এইচ এম জহিরুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি তো তার প্রতিষ্ঠানের প্রধান না। হাসপাতালের প্রধানের কথা না শুনে আমার কথা কেন শুনবে। আমি হাসপাতালের সবাইকে প্রোগ্রামের কাজ করতে নিষেধ করছি এ রকম কোনো প্রমাণ তিনি দিতে পারবেন? তিনি দুর্নীতিবাজ লোক। তিনি সব মিথ্যা কথা বলে। হাসপাতালে জাতীয় দিবসে আলোকসজ্জা না করার বিষয়টি আমি জেনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
মন্তব্য করুন