রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) সাবেক উপাচার্য ও সাবেক রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। অবৈধ পন্থায় কর্মকর্তা কর্মচারী নিয়োগ দেওয়ায় বুধবার (২৭ মার্চ) দুর্নীতি দমন কমিশনের রাজশাহী বিভাগীয় উপপরিচালক আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন, রুয়েটের সাবেক ভিসি ও ইলেকট্রনিক ও ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম সেখ এবং একই বিভাগের অধ্যাপক ও সাবেক রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. সেলিম হোসেন। এর মধ্যে অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম সেখের বাড়ি সিরাজগঞ্জ সদরে। আর অধ্যাপক সেলিম হোসেনের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার শাহাজাদপুরে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে একে অন্যকে লাভবান করার জন্য অপরাধমূলক, অসদাচরণ ও বিশ্বাস ভঙ্গ করে অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। লিখিত পরীক্ষায় কম নম্বর পাওয়া প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষায় অধিক নম্বর প্রদান করে নিয়োগদান করেছেন। বিজ্ঞাপিত ৬ জন সেকশন অফিসারের পদের বিপরীতে নিয়োগ দিয়েছেন ১৩ জনকে। জুনিয়র সেকশন অফিসার পদের অনুমোদন ও শূন্য পদ না থাকা সত্ত্বেও এই পদে নিয়োগ প্রদান করেছেন। পিএটু ভিসি ও পরিচালক পদে দুজনকে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তিনজনকে নিয়োগদান করেন।
এদিকে আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর বিজ্ঞাপিত এক পদের বিপরীতে দুজন, মালীর তিনটি পদের বিপরীতে ৭ জন, গাড়িচালকের একটি পদের বিপরীতে তিনজন ও কুকের পদের বিপরীতে পাঁচজনকে নিয়োগ দিয়েছেন।
দুদকের অভিযোগে আরও বলা হয়, আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে এসব অপরাধমূলক কাজ করেছেন ক্ষমতার অপব্যবহার করে।ফলে আসামিরা ২০২১ সালের জুন থেকে ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত সময়ে অতিরিক্ত নিয়োগপ্রাপ্তদের বেতন ভাতা ও সহায়ক সুবিধাদি বাবদ ১ কোটি ২৬ লাখ ১২ হাজার ১০৯ টাকার আর্থিক ক্ষতিসাধন করেছেন। আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা ও বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারার অপরাধে প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদন সাপেক্ষে দুদক ২০২৩ সালের ২৮ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেন। সম্প্রতি দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের অনুমোদন দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন