সাভার উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব ও তার ভাই ইউপি চেয়ারম্যান ফখরুল আলম সমরের অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের তদন্ত চেয়ে করা আবেদনটি স্বেচ্ছাধীন আইনানুগভাবে নিষ্পত্তি করে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (২২ এপ্রিল) বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসাইনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট জামিউল হক ফয়সাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট কামরুন নেছা রত্না।
অ্যাডভোকেট জামিউল হক ফয়সাল বলেন, দুদককে সেটা স্বেচ্ছাধীনভাবেই করতে বলেছে। তদন্ত করে যদি সত্যতা মেলে তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলেছে।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, সাভারের ঘটনায় দুদক বলেছে, যেহেতু আবেদনটি করা হয়েছ মাত্র ১ মাস হয়েছে। তাই দুদক একটি সময় দিলে তারা ব্যবস্থা নিবে। পরে আদালত স্বেচ্ছাধীন তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে বলেছে। এখানে দুদক যদি মনে করে তাহলে তদন্ত করবে।
এর আগে সাভার উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজিব ও তার ভাই ফখরুল আলম সমরের অবৈধভাবে অর্জিত বিপুল পরিমাণ সম্পদ ও বাড়ি গাড়ি নিয়ে গত ৬ ফেব্রুয়ারি জাতীয় দৈনিক কালবেলা পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদনে দুই ভাইয়ের প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের নানা তথ্য দেয়া হয়। এছাড়া সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হওয়া হলমার্ক গ্রুপের বিপুল পরিমাণ সম্পদ বিক্রি করে দেওয়ার তথ্য প্রকাশ করা হয়। এবং চেয়ারম্যান হওয়ার পরে সাভারে ১৩ টি হত্যায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দুই ভাইয়ের জড়িত থাকার তথ্য তুলে ধরা হয়। পরে ওই প্রতিবেদন সংযুক্ত করে সাভার সাভার বগাবাড়ি এলাকার মো. সজিব হোসেন নামের এক ব্যক্তি দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক, ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে অল্প সময়ে দুই সহোদর কীভাবে ২ হাজার কোটি টাকার মালিক হলেন সে বিষয়ে তদন্ত করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়। পরে ব্যবস্থা না নেয়ায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নিস্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে হয়ে তিনি হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট এ আদেশ দেন।
মন্তব্য করুন