চলমান তাপপ্রবাহে শরীরে অতিরিক্ত ঘাম হওয়ায় শরীর থেকে লবণ ও পানি দুটোই বেরিয়ে যায়। এ সমস্যায় শুধু পানি খেয়ে এ সংকট দূর হবে না। এ সময়ে সুযোগ থাকলে খাবার স্যালাইন খাওয়া যেতে পারে। তাও না হলে অন্তত পানির সঙ্গে কিছুটা লবণ মিশিয়ে খেতে হবে। না হলে অসুস্থ হয়ে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
রোববার (২৮ এপ্রিল) খুলনা মেডিকেল কলেজ ও সোসাইটি অব মেডিসিন খুলনা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত এ আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। এ সময় হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে সাধারণ মানুষের করণীয় এবং চিকিৎসকদের চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন,
একজন সাধারণ মানুষ হিসাবে দীর্ঘক্ষণ একনাগারে সূর্যের নিচে থাকা যাবে না। কিছুক্ষণ কাজ করার পর বিরতি দিতে হবে। আবার পুনরায় কাজ করতে হবে। শরীরে অতিরিক্ত ঘাম হওয়ায় শরীর থেকে লবণ ও পানি দুটোই বেরিয়ে যায়। ফলে শুধু পানি খেয়ে এ সংকট দূর হবে না। সুযোগ থাকলে স্যালাইন না হলে অন্তত পানির সঙ্গে কিছুটা লবণ মিশিয়ে খেতে হবে। না হলে অসুস্থ হয়ে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
সোসাইটি অব মেডিসিন খুলনা শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. রেজাউল করীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. দীন উল ইসলাম, উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. মেহেদী নেওয়াজ।
আরও উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ডা. এসএম কামাল, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. গৌতম কুমার পাল। মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. বিএম সাইফুল ইসলাম।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. প্রিতিশ তরফদার। এছাড়াও অনুষ্ঠানে মেডিসিনের বিভিন্ন শাখার শতাধিক চিকিৎসক অংশ নেন।
মন্তব্য করুন