মো. ইমরান ইসলাম, নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩১ মার্চ ২০২৪, ০৯:৩৯ এএম
অনলাইন সংস্করণ

নওগাঁয় ৩ ঘণ্টার বাজারে মিলছে খাঁটি দুধ

নওগাঁর নিয়ামতপুর কাঁচাবাজারের দুধের হাঁট। ছবি : কালবেলা
নওগাঁর নিয়ামতপুর কাঁচাবাজারের দুধের হাঁট। ছবি : কালবেলা

ঘড়ির কাঁটায় ঠিক বিকেল ৩টা। চারদিক থেকে দুধের বোতল নিয়ে হাজির অর্ধশতাধিক দুধ বিক্রেতা। তাদের সকলের কাছে দেশি গরুর খাঁটি দুধ। সারিবদ্ধভাবে বসে দুধের দাম হাঁকছেন আর ক্রেতারা এসে প্রয়োজনীয় দুধ কিনছেন। সরেজমিনে নিয়ামতপুর উপজেলার সদরের কাঁচাবাজারে এমন দৃশ্যের দেখা মিলে।

নওগাঁর নিয়ামতপুরে ৩ ঘণ্টার জন্য বসে খুচরা ও পাইকারি এই দুধের বাজার। প্রতিদিন বিকেল ৩টায় কয়েক গ্রামের মানুষ তাদের বাড়িতে পালিত দেশীয় প্রজাতির গাভীর দুধ বিক্রি করতে সমেবেত হন এখানে। এতে দুধ বিক্রেতা আর ক্রেতাদের ভিড়ে মিলনমেলায় পরিণত হয় বাজারটি।

উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এবং উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের উদ্যোগে নিয়ামতপুর সদরের কাঁচাবাজারে কৃষিপণ্য বিপণন ভবনের নিচতলায় স্থাপন করা হয়েছে খুচরা ও পাইকারি এই দুধের বাজার। এই হাঁটে বিভিন্ন এলাকা থেকে দুধ কিনতে আসেন ক্রেতারা। ক্রেতাদের বেশিরভাগই সাধারণ মানুষ। তারা প্রয়োজনীয় দুধ সংগ্রহ করে বাড়িতে তৈরি করেন দুধের ছানা ও হরেক রকম মিষ্টি। এ হাঁটে বিকেল ৩টা থেকে শুরু হয় দুধ বিক্রি এবং সন্ধ্যা ৬টা বাজতেই শেষ হয়ে যায়।

স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন নিয়ামতপুর হাটে ৫০ থেকে ১০০ জন দুধ বিক্রি করেন। বাড়িতে লালনপালন করা দেশীয় জাতের গরুর খাঁটি দুধ। এ নিয়ে এলাকায় বিশাল কর্মযজ্ঞ সৃষ্টি হয়েছে। এতে একদিকে স্থানীয়দের দুধের চাহিদা মিটছে, অপরদিকে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন গাভি পালনকারীরা।

দুধ বিক্রেতা হিরেন জানান, তার তিনটি গাভির দুধ হয়। প্রতিদিন ৯-১২ কেজি করে দুধ বিক্রি করেন। বাড়ির পাশে দুধের হাট হওয়ায় তারা খুব সহজেই দুধ বিক্রি করেন। এখানকার দুধের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

দুধ ক্রেতা হানিফ বলেন, হাটে বিক্রি এসব দুধ খাঁটি ও গুণে মানে ভালো। কোনো প্রকার ভেজাল বা পানি মেশানো থাকে না। এ ছাড়া অন্যান্য এলাকার তুলনায় এখানকার দুধের দাম অনেক কম। তাই প্রতিদিন এখান থেকে দুধ কিনে নিয়ে যায়।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল লতিফ বলেন, গবাদিপশুর রোগবালাই থেকে রক্ষা করতে প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে সার্বক্ষণিকভাবে চিকিৎসা প্রদানসহ ওষুধ সরবরাহ করা হয়ে থাকে। পাশাপাশি গবাদিপশুর লালনপালনে সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে সার্বক্ষণিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। গবাদিপশু লালনপালনের পাশাপাশি দুধ বিক্রি করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বীও হচ্ছেন গাভি পালনকারীরা।

নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমতিয়াজ মোরশেদ বলেন, হাটে প্রতিদিন দুধ বিক্রি করে এ অঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুষগুলো অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। পাশাপাশি তারা এলাকায় দুধের চাহিদাও মেটাচ্ছেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গবাদিপশুর লালনপালনে উৎসাহ প্রদান করা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঘূর্ণিঝড় ‘শেন-ইয়ার’ কোথায় আঘাত হানবে

জানাজায় ৪র্থ তাকবির বলার পর হাত কখন ছাড়বেন?

নির্বাচনের আগে রাস্তা সংস্কার না হলে ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার ঘোষণা

কাজের সময় বিদ্যুৎ লাইন চালু, তারে ঝুলছিল মরদেহ

‘আমার সাথে খেলতে আইসো না’, কাকে হুঙ্কার দিলেন মমতা

নির্বাচকদের নিয়ে ‘বিস্ফোরক’ মন্তব্য লিটনের

শত্রুর বুকে কম্পন ধরাতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাল পাকিস্তান

বিচারব্যবস্থায় ডিজিটাল রূপান্তর / সরকার ও ড্যাফোডিলের সহযোগিতায় কোর্ট অটোমেশন সিস্টেম

আরও ১৩ এসপির দপ্তর বদল

শীতকালে পেটে গ্যাস হওয়া থেকে বাঁচতে যেসব সবজি এড়িয়ে চলবেন

১০

‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জনগণকে দেওয়া সব প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন করা হবে’

১১

গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা, স্বামী আটক

১২

‘বিএনপি সরকারে এলে ব্যাংক ও বীমা খাতে বড় সংস্কার হবে’  

১৩

রাজশাহীর নতুন কমিশনার জিল্লুর রহমান

১৪

এইচএসসির নির্বাচনী পরীক্ষার ফল কবে, যা জানা গেল

১৫

বিয়ে নিয়ে ‘চমক’ দেবেন দেব-রুক্মিণী, চলছে পরিকল্পনা

১৬

প্রিপেইড মিটারের ডিমান্ড চার্জ ও মিটার ভাড়া নিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ যা বলছে

১৭

ডিআইজি পদে একযোগে ৩৩ জনের পদোন্নতি

১৮

আলোচিত ছাত্রদল নেতা হত্যা মামলার আসামি ঢাকায় গ্রেপ্তার

১৯

কানাডায় নেওয়ার কথা বলে নিল ৩৮ লাখ, নিঃস্ব ২ পরিবার

২০
X