পিরোজপুরে চাঁদা না দেওয়ায় মঠবাড়িয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক মো. খুরশীদ আলমকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করার ঘটনায় অনিক নামের এক যুবককে হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। অনিরুজ্জামান অনিক জেলা ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সভাপতি।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল অনিককে গ্রেপ্তার করে। অনিক জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আক্তারুজ্জামান ফুলুর ছেলে।
এর আগে মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) মঠবাড়িয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক মো. খুরশীদ আলম রায়হান বিকেল ৫টার দিকে পিরোজপুর এলজিইডিতে ঠিকাদারি ব্যবসার কাজ শেষে বের হন। এ সময় এলজিইডির সামনের বাইপাস সড়কে অনিকসহ ওঁৎ পেতে থাকা ২২-২৩ জন সংঘবদ্ধভাবে রায়হানের ওপর চড়াও হয়।
এ সময় রায়হানকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল দিয়ে ১৫ লাখ টাকা না দিয়ে পিরোজপুর আসছ ক্যান বলে চেঁচামেচি করতে থাকে অনিক। তাকে খুন করার কথা বলে অনিক পিস্তলের বাঁট দিয়ে মাথায়, ঘাড়ে ও কানের ওপর আঘাত করলে জখম হয় এবং চাঁদার টাকা পরিশোধের কথা বলে।
চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করলে অনিকের সঙ্গে থাকা সংঘবদ্ধ দল জিআই পাইপ, লাঠিসোঠা দিয়ে রায়হানের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। এক সময় মামলার ২নং আসামি ইয়াসিন সিকদার রামদা দিয়ে কোপ দিলে রায়হান নিস্তেজ হয়ে পড়ে।
রায়হানকে মৃত ভেবে তার পকেটে থাকা ৬৫ হাজার টাকা নিয়ে সবাই সটকে পড়ে। এ সময় রায়হানের সঙ্গে থাকা মামলার সাক্ষীরা প্রথমে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার রমজান আলী উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
গুরুতর আহত ঠিকাদার জানান, আমি বিভিন্ন সময়ে মোট ১০ লাখ টাকা অনিককে দিয়েছি। কিন্তু কিছুদিন ধরে আরও পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে আসছে। আমি এ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে অনিক তার দলবল নিয়ে আজ সংঘবদ্ধ এ হামলা চালায়।
এ ব্যাপারে পিরোজপুর সদর থানার ওসি মো. আসিকুজ্জামান বলেন, মঠবাড়িয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক মো. খুরশীদ আলম রায়হানকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করার ঘটনার মামলা ১নং আসামি অনিরুজ্জমান অনিককে গ্রেপ্তার করে আজ বুধবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন