চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ১০ দিন চলবে না মৈত্রী ট্রেন

দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশনে মৈত্রী এক্সপ্রেস। ছবি : কালবেলা
দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশনে মৈত্রী এক্সপ্রেস। ছবি : কালবেলা

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ১০ দিন চলবে না দু’বাংলায় চলাচলকারী ট্রেন মৈত্রী এক্সপ্রেস। রোববার (৭ এপ্রিল) থেকে বুধবার (১৭ এপ্রিল) পর্যন্ত বন্ধ থাকবে ঢাকা-কলকাতা চলাচলকারী যাত্রীবাহী ট্রেন মৈত্রী এক্সপ্রেস। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দর্শনা আর্ন্তজাতিক রেল স্টেশনের ম্যানেজার মির্জা কামরুল হক।

২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল (পহেলা বৈশাখ) ঢাকা-কলকাতার মধ্যে যাত্রা শুরু করেছিল একমাত্র যাত্রীবাহী ট্রেন মৈত্রী এক্সপ্রেস। সে সময় দু’দেশের সীমান্তবর্তী দর্শনা ও গেঁদে রেলস্টেশনে যাত্রীদের ইমিগ্রেশন-কাস্টমস করা হতো। এরপর যাত্রীদের যাত্রা সময় কমানোর জন্য দু’দেশের রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তে ২০১৭ সালের ১০ নভেম্বর থেকে ইমিগ্রেশন-কাস্টমস সীমান্তবর্তী স্টেশন দর্শনা ও গেঁদের পরিবর্তে স্ট্যাটিং পয়েন্ট অর্থ্যাৎ ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট ও কলকাতার চিতপুর স্টেশন থেকে করা শুরু হয়।

যাত্রীদের ইমিগ্রেশন-কাস্টমস সম্পন্ন করে সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে ছাড়ে ট্রেনটি। এরপর সীমান্তবর্তী দেশের সর্বশেষ স্টেশন চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনায় পৌঁছায় দুপুর ১ টা ৪০ মিনিটে। দর্শনা স্টেশনে ২০ মিনিট যাত্রা বিরতি করে কেবলমাত্র ইঞ্চিন, গার্ড, ক্রু পরিবর্তন ও যাত্রীদের বুফে খাবার সরবরাহের জন্য। এ ছাড়াও ঈশ^রদী স্টেশনে ১৫ মিনিট দাঁড়ায় ওয়াটারিংয়ের জন্য। সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের নদীয়া জেলার গেঁদে স্টেশনে ১০ মিনিট দাঁড়ায়। এ সময় গেইট লক থাকে ট্রেনটি। কোথাও কেউ উঠতে-নামতে পারে না। বুফের খাবার ট্রেনের মধ্যেই সরবরাহ করা হয়।

বৃহস্পতিবার বাদে সপ্তাহে ৬ দিন ঢাকা-কলকাতার মধ্যে চলাচল করে ট্রেনটি। অর্থ্যাৎ রবিবারে ঢাকা থেকে কলকাতায় যাবে, ফিরে সোমবার। মঙ্গল, বুধ, শুক্র ও শনিবার দুটি করে ট্রেন চলাচল করে। এ দিনগুলোতে ঢাকা থেকে একটি যায় এবং আরেকটি কলকাতা থেকে আসে। কেবল বৃহস্পতিবার বন্ধ থাকে মেত্রী ট্রেন।

মৈত্রীর বহরে রয়েছে ১০টি কোচ। সব কোচগুলোই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। মৈত্রীর প্রতিটি যাত্রায় গড়ে ৪’শ যাত্রী আসা-যাওয়া করে থাকেন। যাত্রা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৬ লাখ যাত্রী আসা-যাওয়া করেছেন। বাংলাদেশ, ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের যাত্রীরা এ ট্রেনে ভ্রমণ করেন।

ঢাকা থেকে কলকাতা ৫৩৮ কিলোমিটারের রেলপথে এসি কেবিন ভাড়া ৪ হাজার ৯০০ টাকা, এসি চেয়ারের ভাড়া ৩ হাজার ৬০০ টাকা। তবে ১ থেকে ৫ বছরের শিশুদের জন্য ৫০শতাংশ ছাড় রয়েছে। এ ক্ষেত্রে পাসপোর্ট অনুসারে বয়স নির্ধারিত হবে।

সিঙ্গেল কেবিনে ৩টি সিট ও ডাবল কেবিনে ৬টি সিটের টিকিট দেওয়া হয়। শুধুমাত্র কমলাপুর ও চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে মৈত্রী ট্রেনের টিকিট কাটা যাবে। এ সময় ভিসাসহ পাসপোর্টের মূল কপি দেখাতে হবে। সপ্তাহে সাতদিন কাউন্টার খোলা থাকে সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। অনলাইনে মৈত্রী ট্রেনের টিকিট দেওয়া হয় না।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড শিখবে কবে?

মেট্রোরেল কার্ডের অনলাইন রিচার্জের উদ্বোধন 

পঞ্চগড়ে ২ হাজার বস্তা সার জব্দ

উয়েফার বিরুদ্ধে সুপার লিগের ‘হাজার কোটি টাকার’ মামলা শুরু

দিবা-রাত্রির টেস্টের আগে অজি শিবিরে সুখবর

কমনওয়েলথ দাবা প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের সাফল্য

যেভাবে মুহূর্তেই জানবেন ছবি আসল নাকি এআই দিয়ে তৈরি

বলিউডের ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’ ধর্মেন্দ্র

ভালো নির্বাচনের জন্য সবার সহযোগিতা লাগবে : সিইসি

‘ওয়ানডে ছেড়ে কোহলির টেস্ট খেলাই চালিয়ে যাওয়া উচিত ছিল’

১০

জানা গেল বিশ্বকাপে ভারত–পাকিস্তান ম্যাচের তারিখ

১১

বাউল আবুল সরকারের কঠোর শাস্তি চাইলেন রাশেদ খাঁন

১২

ভিটামিন ডি পাওয়ার সেরা সময় সকালে নাকি বিকেলে

১৩

বিপিএলে অন্তর্ভুক্ত হলো নতুন দল ‘নোয়াখালী এক্সপ্রেস’

১৪

নলডাঙ্গায় ছড়িয়ে পড়ছে জাল টাকা

১৫

ইথিওপিয়ায় ১২ হাজার বছর পর নিষ্ক্রিয় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত

১৬

ধারাবাহিকে অভিনয় না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি: দেবযানী

১৭

পিঠা খেয়ে একই পরিবারের ১১ জন অসুস্থ, হাসপাতালে ভর্তি

১৮

খাবার নিয়ে বিপাকে রণবীর কাপুর

১৯

প্রাথমিক শিক্ষকদের ৩ দিনের কর্মবিরতি শুরু

২০
X