ঢাকার সাভারের তিন মহাসড়কে ঈদযাত্রায় যাত্রীর চাপ দেখা যায়নি। এমনকি স্বাভাবিক দিনের বাইরে গাড়ির চাপও নেই। তবে যেগুলো চলছে, সেগুলোকে দ্রুতগতিতে ছুটতে দেখা গেছে।
রোববার (০৭ এপ্রিল) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক, বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর সড়ক ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক ঘুরে এসব চিত্র দেখা যায়।
এর মধ্যে সাভারের আমিনবাজার, সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড, নবীনগর, বাইপাইল, আশুলিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় সব স্ট্যান্ডেই স্বাভাবিক দিনের তুলনায় দ্বিগুণ-তিনগুণ বাস অপেক্ষমাণ রয়েছে। দীর্ঘক্ষণেও যাত্রী দিয়ে গাড়ি ভর্তি করতে পারেননি বলে জানান পরিবহন শ্রমিকরা।
নবীনগরে সেলফি পরিবহনের শ্রমিক শাজাহান মিয়া। পাটুরিয়াগামী বাসের জন্য যাত্রী ডাকছিলেন তিনি। জানান, প্রায় ৪৫ মিনিটেও অর্ধেকও সিট পূরণ হয়নি। একই রুটের নীলাচল, ভিলেজ লাইন বাসও যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়।
পরিবারকে বাড়ি পাঠাতে বাইপাইল বাসস্ট্যান্ডে এসেছেন আব্দুর রহিম। বাস না ছাড়ায় পরিবারের সঙ্গেই অপেক্ষা করছিলেন তিনি। তিনি বলেন, এখনও অফিস ছুটি হয়নি। তবে পরিবারকে আগেই পাঠাচ্ছি। যাতে পরে ভিড়ে না পড়ি।
পরিবহন সংশ্লিষ্টদের ধারণা, পোশাক কারখানাসহ সরকারি-বেসরকারি কারখানা ও প্রতিষ্ঠান ছুটি হলে যাত্রীর চাপ বাড়তে পারে।
নীলাচল পরিবহনের বাস চালক আমিনুর রহমান বলেন, গত দুই তিন ধরে যাত্রী বেড়েছে। তবে সব যাত্রী এখনও আসছে না। আগামী এক দুই দিনে যাত্রীর চাপ বাড়বে।
এদিকে সড়কে যাত্রী ও গাড়ির চাপ কম থাকলেও যেগুলো চলছে সেগুলোকে দ্রুতগতিতে ছুটতে দেখা যায়। গাড়িগুলোকেও প্রতিযোগিতা করে চলাচল করতে দেখা গেছে। ধামরাইয়ে ওভারটেক করতে গিয়ে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখা যায়।
সাভার হাইওয়ে থানার ওসি আইয়ুব আলী বলেন, যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। কোথাও কোনো যানজট নেই। আমাদের পুলিশের কন্ট্রোল রুম কাজ করছে। মোবাইল ডিউটি, টহল পুলিশ, মোটরসাইকেল টহলসহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশ কাজ করছে। ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে।
মন্তব্য করুন