ঈদ ও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে বরিশালে ইলিশের দাম প্রতি মণ লাখ টাকা ছাড়িয়েছে। চাহিদার চেয়ে ইলিশ সরবরাহ কম থাকার কারণে এই মূল্যবৃদ্ধি বলে জানিয়েছেন বরিশালের ইলিশ ব্যবসায়ীরা।
বরিশাল পোর্ট রোড ইলিশের পাইকারি মোকামের ইলিশ ব্যবসায়ী কালু খান জানান, গত ৭ দিনে এক কেজি ওজনের প্রতি মণ ইলিশের দাম ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা বেড়েছে। এই মুহূর্তে নদীতে ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আছে, এই কারণে ইলিশের সরবরাহ অনেক কম। এখন প্রতিদিন ১০০-১৫০ মণ ইলিশ আসে। অথচ এই মুহূর্তে চাহিদা হাজার মণ ইলিশের। গত সপ্তাহে প্রতি মণ ইলিশ ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছিল।
খুচরা ইলিশ ব্যবসায়ীরা জানান, ইলিশ বাজারে খুব কম দেখা যায়, যাও দেখা যায় ৪০০ গ্রামের নিচে। এই সাইজের ইলিশও এখন হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, স্থানীয় বাজারে ইলিশের চাহিদা থাকা সত্ত্বেও তারা মূলত ঢাকার কারওয়ানবাজারে ইলিশ পাঠান।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, বড় সাইজের বাছাই করা ইলিশগুলো ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন শহরের উদ্দেশ্যে পাঠানো হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা জানান, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে এমনিতেই চাহিদা বেশি। তার ওপর ইলিশের অভয়াশ্রমে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় বাজারে স্বল্প পরিমাণ ইলিশই দেখা যাচ্ছে।
বরিশাল বিভাগের ইলিশ বিক্রির সবচেয়ে বড় পাইকারি কেন্দ্র পটুয়াখালী জেলার মহীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ইলিশ ব্যবসায়ী বাবুল সিকদার বলেন, এক কেজি সাইজের ইলিশ এই মুহূর্তে বাজারে প্রতিমণ ৯৫ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এখানেও প্রতিদিন ২০০ মণের বেশি পাওয়া যাচ্ছে না। তবে আশা করা যাচ্ছে এপ্রিলের শেষে নিষেধাজ্ঞা চলে গেলে ইলিশের সরবরাহ কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।
বরিশাল জেলা মৎস্য বিভাগ সূত্র জানায়, গত ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল বরিশালসহ বিভিন্ন জেলার ৫ অভয়াশ্রমে ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা চলছে। এসব কারণে বাজারে ইলিশের সরবরাহ অনেক কম।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিমল চন্দ্র দাস জানান, অভয়াশ্রম বাদে অন্যত্র ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞার নেই। পহেলা বৈশাখে ইলিশের অত্যধিক চাহিদার কারণে ইলিশের দাম অন্তত ৩০ থেকে ৪০ ভাগ বেড়ে গেছে।
মন্তব্য করুন