রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ : ১৬ জুলাই ২০২৩, ০৭:১৬ পিএম
আপডেট : ১৬ জুলাই ২০২৩, ০৭:৩০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
উদ্বিগ্ন এলাকার মানুষ

প্রেমতলীতেই ফিরলেন সেই পুলিশ পরিদর্শক

আবদুল বারী। ছবি : সংগৃহীত
আবদুল বারী। ছবি : সংগৃহীত

তিন বছর আগে সেবাপ্রার্থীদের গালাগাল, অহেতুক মারধরসহ নানা অভিযোগে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার প্রেমতলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র থেকে বদলি করা হয় পরিদর্শক আবদুল বারীকে। তিন বছর পর সেই বারীই আবার ফিরেছেন প্রেমতলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছেন এলাকার সাধারণ মানুষ।

সম্প্রতি রাজশাহীর এসপি এ বি এম মাসুদ হোসেন এক আদেশে আবদুল বারীকে প্রেমতলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ হিসেবে বদলি করেন। এর আগে তিনি পুঠিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বদলির আদেশের পর রোববার (১৬ জুলাই) সকালে আবদুল বারী প্রেমতলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে পৌঁছান। তিন বছর আগে যারা বারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন, তারা এখন উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছেন।

প্রেমতলী বাজারে ২০২০ সালের এপ্রিলে পুলিশের নির্যাতনের শিকার হওয়া স্থানীয় যুবলীগ নেতা সারোয়ার হোসেন বাদশা বলেন, ‘ করোনার সময় এলাকার এক ব্যক্তি বাইরে থেকে এসে কোয়ারেন্টাইন মানছিলেন না। বিষয়টি তদন্ত কেন্দ্রে অবহিত করা হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ জন্য আমি এসপিকে ফোন করে বলেছিলাম। তৎকালীন এসপি দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এতেই ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন ইনচার্জ আবদুল বারী। তিনি তিনজন এএসআইকে দিয়ে আমাকে কৌশলে ডেকে সবার সামনে মারধর করেন।’

সে সময় বাদশাকে পেটানোর বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে তদন্ত কেন্দ্র থেকে তিনজন সহকারী উপপরিদর্শককে (এএসআই) প্রত্যাহার করা হয়।

২০২০ সালের ২৪ জুলাই ফরাদপুর গ্রামের আমিনুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি তৎকালীন এসপি মো. শহিদুল্লাহর কাছে লিখিত অভিযোগ করে জানান, তিনি একটি কাজে প্রেমতলী পুলিশ ফাঁড়িতে গেলে পরিদর্শক আবদুল বারী তাকে গালাগাল করেন। এ ছাড়া তিনি এলাকার আরও অনেকের সঙ্গে এ ধরনের দুর্ব্যবহার করে থাকেন।

এই অভিযোগ পড়ার পর বিষয়টির তদন্ত হয়। তদন্তে বারীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা মেলে। এ কারণে তাকে তদন্ত কেন্দ্র থেকে প্রত্যাহার করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে একটি বিভাগীয় মামলাও করা হয়। ভুক্তভোগীরা মনে করছেন, তিন বছর আগে বারীর বিরুদ্ধে যারা অভিযোগ করেছিলেন তাদের শায়েস্তা করতে তিনি আবার তদবির করে এই পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে ফিরেছেন। এতে তারা সবাই উদ্বিগ্ন।

যে তদন্ত কেন্দ্র থেকে প্রত্যাহার হয়েছিলেন, সেখানে আবার এই বিতর্কিত পুলিশ কর্মকর্তাকে পাঠানোর বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহীর এসপি এ বি এম মাসুদ হোসেন বলেন, ‘বারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছিল, সে শাস্তিও পেয়েছেন। আইনে তো বলা নেই—যেখান থেকে প্রত্যাহার হয়েছিল সেখানে আর যেতে পারবে না। এলাকার যারা বারীর কারণে ভয় পাচ্ছে, তারা আমার কাছে এলে ভয় দূর করে দেব।’

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

১০ লাখ টাকা ঘুষ চাওয়া সেই নাহিদকে পদ দিল এনসিপি

যারা মাইনাস ফোরের কথা বলছেন তারা স্বৈরাচারের দোসর : প্রেস সচিব

সহজ সমীকরণ মিললেই বিশ্বকাপের ফাইনালে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা!

এক জেলার ২৪৩ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষককে শোকজ

আইইউবিএটি ক্যারিয়ার ফেস্টিভ্যাল ২০২৫-এ অংশ নিচ্ছে দেশি-বিদেশি ১৩০ প্রতিষ্ঠান

জবিতে সম্পূরক বৃত্তির দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা ‎ ‎

লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন ৩১০ বাংলাদেশি

দুর্দান্ত বোলিংয়ে পাকিস্তানকে হারাল বাংলাদেশ

এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে বৈষম্যবিরোধীদের তালা

খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা

১০

কড়াইল বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত মসজিদে তারেক রহমানের সহায়তা 

১১

আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া পটুয়াখালীর ৪ শিক্ষককে বরগুনায় বদলি

১২

ভূমিকম্প থেকে আত্মরক্ষার দোয়া ও করণীয় আমল

১৩

খালেদা জিয়ার লন্ডন যাওয়া নিয়ে স্পষ্ট বার্তা মির্জা ফখরুলের

১৪

ধানমন্ডিতে বাবার বাসা মাহবুব ভবনে গেলেন জুবাইদা রহমান

১৫

ব্রাজিলের ক্লাবের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ, খেলা দেখবেন যেভাবে

১৬

জবির প্রতিষ্ঠাতা বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে দোয়া

১৭

ববি ছাত্রদলের তিনটি পদে নির্বাচন শনিবার, লড়বেন ১০ প্রার্থী

১৮

মৃত্যুর ফেরেশতা কি প্রাণীদেরও রুহ কবজ করেন? জানুন

১৯

মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করা হবে আমাদের শপথ : সালাউদ্দিন আহমদ

২০
X