গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে প্রতিপক্ষের হামলায় ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে তিনজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বাকি ১২ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের পাড়াকচুয়া গ্রামে এ হামলা শুরু হয়। সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত থেমে থেমে এ হামলা চলে।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি শামসুল আলম শাহ্ কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা গেছে, শোলাগাড়ি সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও পরিচালনা পরিষদ নিয়ে মোজহারুল ইসলাম ও সাদ্দামের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরে পাড়াকচুয়া গ্রামের বাসিন্দা সাদ্দাম সরদারের নেতৃত্বে শোলাগাড়ী সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা মোজহারুল ইসলামের বাড়িতে হামলা চালায়।
এ সময় তার ছেলে সজীবকে ছুরিকাঘাত করে সাদ্দাম। এতে গুরুতর আহত হয় সজীব। হামলার সময় গ্রামের লোকজন এগিয়ে এলে তাদের ওপরও হামলা করে সাদ্দাম ও তার দল। হামলায় সজিবসহ ১৫ জন আহত হন।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মোস্তাক আহমেদ বলেন, তিনজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। আহত ১২ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের মধ্যে সজিবের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি।
অধ্যক্ষ মোজহারুল ইসলাম বলেন, সন্ধ্যার একটু আগে পাড়াকচুয়া গ্রামের সাদ্দাম সরদার তার বাহিনী নিয়ে এসে বাড়িতে হামলা চালায়। সাদ্দামের ছুরিকাঘাতে আমার ছেলে গুরুতর আহত হয়েছে। আমাদের রক্ষার্থে গ্রামবাসী এগিয়ে এলে তাদের ওপরও হামলা চালায় তারা। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হন।
তিনি বলেন, সাদ্দাম বাহিনীর সঙ্গে বিপ্লব সরদার, সাহারুল, মুন, আতিক, শাহিনুর, তপন সরদার, রাকিব, পলাশসহ আরও ২০-২৫ জনের দল সংঘবদ্ধ হামলায় অংশ নেয়। এদের বেশিরভাগই কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য।
সাদ্দাম সরদার বলেন, মোজাহারুলের লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালালে আমরাও পাল্টা হামলা চালাই। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
মন্তব্য করুন