টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ঘুমিয়ে থাকা স্বামীর জননাঙ্গ কেটে পালিয়েছেন জাকিয়া নামে এক গৃহবধূ। গুরুতর আহত ফিরোজ মিয়াকে ভূঞাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।
বুধবার ( ১৭ এপ্রিল) সকালে উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের রাউৎবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত স্বামী ফিরোজ মিয়া গোবিন্দাসী ইউনিয়নের রাউৎবাড়ি গ্রামের শাহজাহানের ছেলে।
ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারী মেডিকেল অফিসার কাজল তালুকদার কালবেলাকে বলেন, ফিরোজ মিয়ার জননাঙ্গের পুরো অংশ কেটে ফেলা হয়েছে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছি।
ফিরোজের মামা আরজু কালবেলাকে বলেন, ফিরোজ মিয়ার সঙ্গে পাঁচ বছর আগে প্রেমের সম্পর্কে বিয়ে হয় জাকিয়ার। বিয়ের পর থেকেই পারিবারিক ও দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। তাদের ঘরে একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। গত ছয় মাস আগে আদালতের মাধ্যমে তাদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। রমজানের মধ্যে তাদের বিচ্ছেদকে আবার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করে দিয়েছিলেন স্থানীয় গোবিন্দাসী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দুলাল হোসেন চকদার।
তিনি বলেন, সকালে ঘুমন্ত অবস্থায় ভাগিনা ফিরোজের জননাঙ্গ কেটে ফেলে তার স্ত্রী। পরে পাশের লোকজন খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। তার স্ত্রী বাড়ি থেকে পালিয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল হোসেন চকদার বলেন, তাদের দাম্পত্য কলহের একটা সুরাহা করে দিয়েছিলাম। হঠাৎ করে কেন যে এমন ঘটনা ঘটাল। ঘটনার পর মেয়ে বাড়ি থেকে পালিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ফিরোজ তার স্ত্রী জাকিয়ার পরকীয়ার কথা জানতে পারায় এ নিয়ে তাদের মধ্যে কলহ চলছিল। এর জেরে স্বামীর জননাঙ্গ কেটে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় সে।
ভূঞাপুর থানার ওসি মো. আহসান উল্লাহ কালবেলাকে বলেন, আমি ঘটনাটি জেনেছি। এ বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি।
মন্তব্য করুন