প্রতিবারের ন্যায় এবারো পবিত্র ঈদুল ফিতরে নেত্রকোনার দুর্গাপুরের সাদামাটির পাহাড়ে ঢল নামে পর্যটকদের। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তারা ঘুরতে আসেন। সীমান্তবর্তী বিজয়পুরের সাদামাটির পাহাড়, কোহিনূর টিলা, নীল পানির জলরাশি, কমলাবাগান, সীমান্তের জিরো পয়েন্ট এবং সোমেশ্বরী নদীর নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করেন তারা।
বর্তমানে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকায় কোনো ঝক্কি-ঝামেলা ছাড়াই পর্যটকরা সরাসরি দুর্গাপুরে চলে যেতে পারেন। এ জন্য এখানকার পর্যটন ব্যবসা সবসময় চাঙা থাকবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
সোমেশ্বরী নদীতে এই শুকনো মৌসুমে কাঠের ব্রিজ থাকায় গাড়ি নিয়ে সীমান্তে চলে যেতে পারেন পর্যটকরা। এ ছাড়া সড়কে নেই কোনো ঝামেলা।
দুর্গাপুরের বিজয়পুরে সাদামাটির পাহাড়ে কোথাও সাদা, কোথাও গোলাপি, কোথাও কালো, কোথাও বাদামি রঙের মিশ্রণ থাকায় দূর থেকে এই পাহাড় অপরূপ সুন্দর দেখায়। এখানে রয়েছে নীল পানির লেক। এই লেকের পানি খুব ঠান্ডা। বেড়াতে আসা মানুষজন তপ্ত দুপুরে লেকের পানিতে পা ডুবিয়ে শীতলতা অনুভব করেন। কেউ কেউ হাত-মুখ ধুয়ে সতেজতা ফিরে পান।
চারপাশে সবুজ সুন্দর স্নিগ্ধতা। স্রষ্টা যেন এই অঞ্চলকে নিজ হাতে নয়নাভিরাম সৌন্দর্যে সাজিয়েছেন। এখানে বাংলাদেশের পাহাড় থেকে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের উঁচু পাহাড়গুলোও দেখা যায়। সব মিলে যেদিকে চোখ যায় সেদিকে শুধু সবুজের পসরা। পাহাড়-নদী-সবুজের এই মিতালি যে কাউকে বিমোহিত করবে।
ঢাকা থেকে দুর্গাপুরের যাতায়াতের ব্যবস্থার জন্য রয়েছে বাস। ডে-নাইট ভাড়া প্রায় ৪৫০ টাকা। সিলেট থেকে আসার ব্যবস্থা হলো সীমান্ত রাস্তা দিয়ে মোটরসাইকেলে। তার ভাড়া প্রায় ১০০০ টাকা।
ঈদ উপলক্ষে দুর্গাপুরের ওয়াইএমসিএ, ওয়াইডব্লিউসিএ, স্বপ্নপুরী রিসোর্ট, হোটেল সোমেশ্বরী লাক্সারিয়াস, নদী বাংলা গেস্ট হাউস ও স্বর্ণা গেস্ট হাউসসহ বিভিন্ন গেস্ট হাউসে ছিল ২০-৩০% ছাড়।
আগে থেকেই গেস্টহাউসগুলোতে বুকিং দিয়ে যেতে পারেন পর্যটকরা। হাউসগুলোর কর্তৃপক্ষ জানান, আগের তুলনায় দুর্গাপুরের বিভিন্ন পর্যটন স্পটের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন