সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:০২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সাতক্ষীরায় ভুয়া সাংবাদিকদের তথ্য সংগ্রহের কার্ড দিলেন রিটার্নিং অফিসার

সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়। ইনসেটে নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান। ছবি : কালবেলা
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়। ইনসেটে নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান। ছবি : কালবেলা

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলোচিত আলিপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আগামীকাল (২৮ এপ্রিল) রোববার। অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই একটি নির্বাচনে সাংবাদিকদের নির্বাচনের তথ্য সংগ্রহের কার্ড অন্তত ডজনখানেক নামসর্বস্ব বিভিন্ন ভুঁইফোড় পত্রিকার অসাংবাদিকদের হাতে দেখা যাচ্ছে।

গণহারে এভাবে কার্ড দেওয়ায় উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও আলিপুর ইউপির রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে। তবে গুঞ্জন রয়েছে অনেকেই টাকার বিনিময়ে পেয়েছেন এই কার্ড।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আলিপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. মেহেদী হাসান স্বাক্ষরিত নির্বাচন তথ্য সংগ্রহ কার্ড পেয়েছেন ৭১ বাংলা, প্রবাহ নিউজ টিভি, প্রেস বাংলা সময় (পিবিএস), আশোকসহ নামসর্বস্ব বিভিন্ন ভুঁইফোড় পত্রিকা। এ ছাড়াও নামে বেনামে উপজেলার নির্বাচন অফিস থেকে সাংবাদিকদের তথ্য সংগ্রহের কার্ড সংগ্রহ করতে দেখা গেছে। তবে কারা তথ্য সংগ্রহের কার্ড পেয়েছেন এ বিষয়ে তথ্য দিতে রাজি হননি রিটার্নিং কর্মকর্তা।

এদিকে, স্থানীয় সাংবাদিক ও সুশীল সমাজ সাংবাদিকদের নামে অপ-সাংবাদিকদের হাতে এসব কার্ড ছড়িয়ে পড়ায় সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ পরিস্থিতি বিঘ্নিত হওয়ার আশংকা করছেন।

সাতক্ষীরা প্রেস ক্লাবের সাবেক ৭ বারের নির্বাচিত সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ বলেন, নামসর্বস্ব বিভিন্ন ভুঁইফোড় পত্রিকার অপ-সাংবাদিকদের হাতে এসব কার্ড তুলে দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ পরিস্থিতি বিঘ্নিত হওয়ার আশংকা তৈরি হয়েছে, তাদের নির্বাচন পর্যবেক্ষক কার্ড দেওয়া ঠিক হয়নি। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. মেহেদী হাসানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সাংবাদিকদের পরিচয়পত্র দেখে তথ্য সংগ্রহের কার্ড দিচ্ছি, কোন পত্রিকা ভুয়া সেটা আমার দেখার বিষয় না।

কারা কার্ড পেয়েছেন তালিকা চাইলে তিনি বলেন, আমরা কাদের কার্ড দিয়েছি সেটা আপনাদের কেন বলতে হবে। আপনাদের যা ইচ্ছে লেখেন, যা ইচ্ছে করতে পারেন, তাতে আমার কিছু আসে যায় না। আমি এখন ব্যস্ত আছি।

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, এ বিষয়টি আমার জানা নেই, মাত্র শুনলাম। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন তিনি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিএনপির এক নেতাকে সব পদ থেকে বহিষ্কার

ঠোঁটের চারপাশে কি কালচে ছোপ, ২ সপ্তাহেই মুক্তি পাওয়ার ঘরোয়া উপায়

পুলিশের নতুন ইউনিফর্ম নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

হাসিনার যেদিন ফাঁসি হবে, সেদিন কলিজা ঠান্ডা হবে : শহীদ সজলের মা

ছয় গোলের উৎসবে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করল জার্মানি

চবি ছাত্রদলের এক নেতার পদ স্থগিত

অভিজ্ঞতা হলো জীবনের সবচেয়ে বড় সঞ্চয়: দীপিকা পাড়ুকোন

বিকেএসপিতে চাইনিজ গভার্নমেন্ট স্কলারশিপ নিয়ে বিশেষ সেমিনার

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার প্রসঙ্গে যা বললেন ফয়েজ তৈয়্যব

কটাক্ষের শিকার অনন্যা

১০

৬৭৮ কোটি টাকা মানিলন্ডারিং / ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের মালিকের বিরুদ্ধে সিআইডির মামলা

১১

রাজনীতিতে হাসিনার উত্থান-পতন যেভাবে

১২

সাগরপথে পাচারের সময় ৮ রোহিঙ্গা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৪

১৩

কারও সঙ্গে ৩ দিনের বেশি কথা না বললে কী হয়? যা বলছে ইসলাম

১৪

দাম কমেছে বলছেন ট্রাম্প, কিন্তু জীবনযাত্রার ব্যয়ে ক্ষুব্ধ মার্কিনিরা

১৫

হঠাৎ মিষ্টি খেতে মন চায়, এটা কীসের ইঙ্গিত

১৬

দেশে কত দামে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে আজ

১৭

শেখ হাসিনার যত ভুল

১৮

কন্যার নাম ‘কুর্দিস্তান’ রেখে ফিলিস্তিনি বাবার বার্তা

১৯

সেই দিন রায় ঘোষণার আগে যা বলেছিলেন দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী

২০
X