শরীয়তপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩৭ এএম
আপডেট : ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০৭ এএম
অনলাইন সংস্করণ

পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে আদালতের বারান্দা থেকে আসামির পলায়ন

জেলা ও দায়রা জজ আদালত শরীয়তপুর। ছবি : সংগৃহীত
জেলা ও দায়রা জজ আদালত শরীয়তপুর। ছবি : সংগৃহীত

শরীয়তপুরের নড়িয়ায় আদালতের বারান্দা থেকে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়েছে হত্যা মামলার এক আসামি।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে শরীয়তপুরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতের এজলাসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, উপজেলার জপসা ইউনিয়নের মাইজপাড়া গ্রামের রাড়ীকান্দি গ্রামের মোহাম্মদ আলী মাদবর হত্যা মামলায় তার স্ত্রী মুন্নি বেগমসহ দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। আদালতের এজলাসে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিচ্ছিল মুন্নি বেগম। এ সময় আদালতের বারান্দায় বসে থাকা অপর আসামি বাবু ফকির (২৫) পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যায়।

পালং মডেল থানা পুলিশের ওসি মেজবাহ উদ্দিন আহম্মেদ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাতে উপজেলার জপসা ইউনিয়নের মাইজপাড়া রাড়ীকান্দি গ্রামের মৃত আমিন উদ্দিন মাদবরের ছেলে মোহাম্মদ আলী মাদবর নিখোঁজ হন। পরদিন শরীয়তপুর সদর উপজেলার ডোমসার ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান চাঁন মিয়া মাদবরের বাড়ির সামনের পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার হয়।

মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। এরপর শুক্রবার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে- এমন অভিযোগ তুলে অজ্ঞাত আসামিদের নামে পালং মডেল থানায় মামলা করেন নিহতের বড় ভাই কেরামত আলী মাদবর।

এ ঘটনায় পুলিশ বাবু ফকিরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে। জিজ্ঞাসাবাদে বাবু ফকির পুলিশকে জানায় নিহতের স্ত্রী মুন্নি বেগমও হত্যার সঙ্গে জড়িত।

অন্যদিকে হাসপাতাল থেকে নিহতের স্বজনরা জানতে পারেন মোহাম্মদ আলী মাদবর ঘুমের ওষুধ খেয়েছিলেন। এরপর বাড়িতে এসে স্বজনরা মুন্নি বেগমের কাছে বিষয়টি জানতে চান। পরে মুন্নি বেগম শুক্রবার বিকেলে তাদেরকে জানায়, ভাতের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে স্বামীকে পরকীয়া প্রেমিক মামুন চৌকিদার ও তার সঙ্গীদের হাতে তুলে দেন তিনি। এরপর মুন্নি বেগমকে আটক করে থানা পুলিশে খবর দেন নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী। পুলিশ মুন্নি বেগমকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়।

পরে শনিবার মুন্নি বেগম ও বাবু ফকিরকে শরীয়তপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতের সামনে আনা হয়। আসামিদের বুঝে নেয় কোর্ট পুলিশ। এরপর বিকেল ৪টার দিকে এজলাসের সামনে থেকে পুলিশ সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যায় আসামি বাবু ফকির।

পালং মডেল থানার ওসি মেজবাহ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার জন্য আদালতের এজলাসের সামনে থানা ও কোর্ট পুলিশের তত্ত্বাবধানে ছিল আসামিরা। এ সময় বাবু ফকির নামে একজন আসামি পালিয়ে গেছে।

শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুল আলম বলেন, একজন আসামি পালিয়ে গেছে। আসামিকে ধরতে ২০ থেকে ২৫টি টিম কাজ করছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

খালেদা জিয়ার জানের সাদকা হিসেবে ছাগল দান বিএনপি নেতা আজাদের

নগরজুড়ে আতঙ্ক, চট্টগ্রামে ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে অপরাধীরা

রাজশাহীতে জিয়া পরিষদের সভাপতি ড. নেছার উদ্দিন ও সম্পাদক সালাউদ্দিন

গাড়িতে মাথা ঘোরা-বমি ভাব? সাহায্য করবে আইফোনের এই গোপন ফিচার

এভারকেয়ার হাসপাতালে নিরাপত্তা জোরদার

আদালতে হাজির হলেন নেতানিয়াহু

জুলাই আন্দোলনে বাঁধা, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ জনকে শাস্তি

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিলে মাসুদুজ্জামান

বেগম খালেদা জিয়া / গৃহিণী থেকে দেশনেত্রী এবং জাতির আত্মগৌরবের এক অনিবার্য প্রতীক

নভেম্বরে এলো ৩৫ হাজার কোটি টাকার বেশি রেমিট্যান্স

১০

খালেদা জিয়াকে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ ঘোষণা

১১

রোটারি ক্লাব অব চিটাগাং এরিস্টোক্রেটের ব্যবসায়িক আইডিয়া প্রতিযোগিতা

১২

দেশে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

১৩

টাঙ্গাইলে ‘প্রিন্ট মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশন’-এর আত্মপ্রকাশ, সভাপতি বুলবুল, সম্পাদক উজ্জ্বল

১৪

খালেদা জিয়া সংগ্রাম ও সাহসের প্রতীক : কাজী বাশার

১৫

চুপিসারে দ্বিতীয় বিয়ে সারলেন সামান্থা, পাত্র কে?

১৬

আরও ৭৭ উপজেলায় নতুন ইউএনও

১৭

টেকনাফে ৬ শিশুকে অপহরণ, কৌশলে পালাল দুজন

১৮

তরুণ ভোটারদের ভোটদানের আহ্বান আমিনুল হকের

১৯

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের যে সমাধান দিলেন পোপ লিও

২০
X