সুন্দরবনে একটি বাঘের মরদেহ উদ্ধার করেছে বনরক্ষীরা। সাধারণত বাঘের মৃত্যুর সংবাদের চেয়ে উল্টো খবর বেশি পাওয়া যায়। তবে সুন্দরবন এলাকায় বাঘের আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে অনেক মানুষের। কখনো কখনো শোনা যায় মাছ শিকার বা মধু সংগ্রহে গিয়ে বাঘের অতর্কিত আক্রমণের শিকার হয়েছেন কেউ কেউ। কিন্তু বাঘের মৃত্যু? সেই খবরই পাওয়া যাচ্ছে এখন।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় সুন্দরবনের জোংড়া আর মরাপশুর খালের মাঝামাঝি এলাকা জোংড়া খালের আন্ধারিয়া খালের মুখ থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সুন্দরবনের কনজারভেটর অব ফরেস্ট (সিএফ) মিহির কুমার দো বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জেলে বাওয়ালিদের মাধ্যমে খবর পাওয়ার পর বনরক্ষীরা বাঘের মৃতদেহটি উদ্ধার করে। মনে হচ্ছে বেশ কয়েক দিন আগে মারা গেছে বাঘটি।
তিনি বলেন, বাঘটির মৃত্যুর কারণ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। পাশাপাশি, মৃত্যুর কারণ জানার জন্য বাঘটির বয়সসহ অন্যান্য বিষয়গুলোও বন বিভাগ অনুসন্ধান করবে।
এর আগে ১২ ফেব্রুয়ারি পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন কচিখালী খাল থেকে একটি বাঘের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া গত বছরের নভেম্বর মাসে সাতক্ষীরার রায় মঙ্গল নদী থেকে একটি মৃত বাঘের দেহ উদ্ধার করে বন বিভাগ। তবে সেই মৃত বাঘটির মাথার খোঁজ পাওয়া যায়নি।
বন বিভাগের তথ্যমতে, ২০০১ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ২৩ বছরে সুন্দরবনে নানা ভাবে ৪২টি বাঘের মুত্যু হয়েছে। এর মধ্যে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগে ২৬টি আর পশ্চিম বিভাগে ১৬টি। এসব বাঘের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে দেখা যায়, কখনো লোকালয়ে এসে গণপিটুনি শিকার হয়ে মরছে বাঘ। এ ছাড়া অসুস্থ বা রোগাক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হচ্ছে। এ ছাড়া চোরা শিকারিদের হাতে কয়টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে তার সঠিক হিসাব পাওয়া যায়নি। তবে ২৩ বছরে ২০টি বাঘের চামড়া উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মন্তব্য করুন