‘কলেজে রেজাল্ট দিছে। আমি ফেল করেছি। তাই আমি আর বাঁচতে পারলাম না।’ এমন চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করেছেন মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের এক কলেজশিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার গালা ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
তবে ওই কলেজে প্রথম বর্ষের পরীক্ষাই শুরু হয়নি বলে কলেজ কর্তৃপক্ষের বরাতে জানিয়েছে পুলিশ।
কলেজছাত্রী অনামিকা ঘোষ গোপালপুর গ্রামের অজিত ঘোষের মেয়ে। তিনি ঝিটকা খাজা রহমত আলী ডিগ্রি কলেজের ইন্টারমিডিয়েট প্রথম বর্ষের মানবিক বিভাগের ছাত্রী।
পরিবার জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে কলেজ থেকে বাসায় ফিরে অনামিকা। বাসায় এসেই কাউকে কিছু না বলে তার রুমে চলে যায়। পরে দুপুর ২টার দিকে তাকে খাবারের জন্য ডাকাডাকি করলে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ঘরের দরজা ভেঙে রুমে ঢুকে। অনামিকাকে গলায় ওড়না দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়।
পরে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে অনামিকাকে উদ্ধার করে। বাজার থেকে চিকিৎিসক আনতে আনতেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পাশের রুমে তার খাতার ভেতর লেখা একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। তাতে লেখা ছিল, কলেজে রেজাল্ট দিছে। আমি ফেল করেছি। তাই আমি আর বাঁচতে পারলাম না।
নিহতের চাচাতো ভাই সজীব ঘোষ বলেন, ২টার দিকে বাসা থেকে আমাকে কল দিয়ে ঘটনা জানিয়ে ডাক্তার নিয়ে আসতে বলে। আমি ডাক্তার নিয়ে আসতে আসতে অনামিকা মারা যায়।
হরিরামপুর থানা ওসি শাহ্ নূর এ আলম কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চিরকুটের লেখার সঙ্গে ঘটনার মিল নেই। কারণ কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেছে, প্রথম বর্ষের পরীক্ষাই শুরু হয়নি। তাই ঘটনা সন্দেহজনক হওয়ায় লাশ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছি। এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন