আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পাঁচবিবি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক মন্ডল (আনারস প্রতীক) ও তার আপন জামাই উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক, শিক্ষক ও সাংবাদিক সুমন চৌধুরী (টেলিফোন প্রতীক) ভোটের মাঠে মুখোমুখি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এক্ষেত্রে স্বজনরা পড়েছেন বিপাকে। তবে ভোটের মাঠে জামাই-শ্বশুর কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ।
আগামী ২১ মে পাঁচবিবি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শ্বশুর-জামাই ছাড়াও আরও চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুনিরুল শহীদ মুন্না (মোটরসাইকেল প্রতীক), বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক কুসুম্বা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন মন্ডল (দোয়াত-কলম প্রতীক), জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জাহিদুল আলম বেনু (কৈ মাছ) ও শিখা ট্রাস্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সাবেকুন নাহার শিখা (ঘোড়া প্রতীক)।
এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। গত (২ মে) প্রতীক বরাদ্দের পর প্রার্থীরা ভোটযুদ্ধে নেমেছেন।
আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, পাঁচবিবি উপজেলায় আওয়ামী লীগ দুই গ্রুপে বিভক্ত। যার একটি অংশ নেতৃত্ব দিচ্ছেন জয়পুরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ অ্যাডভোকেট সামছুল আলম দুদু, অন্যটিতে পাঁচবিবি পৌরসভার মেয়র আলহাজ হাবিবুর রহমান হাবিব। পাঁচবিবি উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুটি গ্রুপের বিভক্তির প্রভাব গেল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও দৃশ্যমান হয়েছে।
এবার প্রতীক হিসেবে নৌকা না থাকায় জটিল হয়ে উঠেছে সমীকরণ। প্রার্থী উন্মুক্ত থাকায় ‘নিজের লোককেই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বসাতে চান এমপি ও মেয়র। এ কারণে পাঁচবিবি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে দাঁড়িয়েছে আওয়ামী লীগের পাঁচজন প্রার্থী।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুর রউফ বলেন, উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৪ হাজার ৬৪৬ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ২ হাজার ৬১৮ জন, পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২ হাজার ২৫ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার তিনজন।
মন্তব্য করুন