ধানক্ষেত রক্ষা করতে বৈদ্যুতিক তার দিয়ে হাতি মারার ফাঁদ পাতেন কৃষকরা। কিন্তু সে ফাঁদে আটকে পড়ে নজির আহমেদ (৪৫) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৪ মে) সকালে কক্সবাজারের চকরিয়ায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে।
নিহত নজির আহমেদ স্থানীয় চকরিয়ার হারবাং ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মোহছেন সিকদার পাড়া এলাকার নাজির হোসেনের ছেলে। হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মহসিন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে সঙ্গীয় পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নজির আহমদ ওরফে বার্মাইয়া নজির নামে এক কৃষকের ঝলসানো মরদেহ উদ্ধার করি। পরে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রতিদিনের মতো সকাল ১০টার দিকে সাতকানিয়া ঘোনা এলাকায় ধানক্ষেতে পানি দিতে গেলে হাতি মারার বৈদ্যুতিক ফাঁদে আটকা পড়েন নজির আহমেদ। এ সময় অন্য কৃষকরা নিহতের আত্মীয়স্বজন ও হারবাং পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেয়। দুপুর ১২টার দিকে হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মহসিন চৌধুরী ও এএসআই সোলায়মান খাঁনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, হারবাং বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য এলাকা হওয়ায় প্রায়ই বন্যহাতির আনাগোনা থাকে। বিশেষ করে এদের পাল রাতে ধানক্ষেতে আসে। এ অবস্থায় নিজেদের ধান রক্ষায় এর চারপাশে বৈদ্যুতিক লাইন সংযুক্ত করে হাতি মারার ফাঁদ পাতেন ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের নাপিতচিতা এলাকার আব্দুল ছাত্তার, জমির উদ্দিন, মো. সাজ্জাদ ও মিজানুর রহমান ওরফে ছোটন। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে হাতি মারার বৈদ্যুতিক ফাঁদে জড়িয়ে পড়েন কৃষক নজির আহমেদ। এতে বিদ্যুৎস্পর্শে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত মিজানুর রহমান ওরফে ছোটনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরে মেসেজ পাঠানো হলেও উত্তর পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে চকরিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, এ ঘটনায় কেউ এখনো অভিযোগ দেয়নি। তবে ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন