ভাঙন রক্ষায় নদী পাড়ে ফেলা হচ্ছে শতশত জিও ব্যাগ। কয়েকদিন পরেই আপনা আপনি ব্যাগ ফেটে বেরিয়ে যাচ্ছে বালি। হাত দিয়ে আলতো করে টান দিলেও ছিঁড়ে যাচ্ছে ব্যাগগুলো।
এ ছাড়া ৫ স্তর করে জিও ব্যাগ ফেলার কথা থাকলেও ফেলা হচ্ছে চার স্তর করে। আবার কোথাও কোথাও দুই থেকে তিন স্তর করে রাখা হচ্ছে এসব ব্যাগ। কোটি টাকা ব্যায়ে এসব নিম্নমানের ব্যাগ সাপ্লাই দিয়েছে আরএম জিওটেক্স লিমিটেড নামের একটি কোম্পানি।
মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের গোপীনাথপুর ইউনিয়নের উজানপাড়া থেকে কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের বৌদ্ধকান্দি পর্যন্ত পদ্মা নদীর তীর রক্ষা কাজে নিম্নমানের জিও ব্যাগ দিয়ে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে কোম্পানিটির বিরুদ্ধে। এসব নিম্নমানের জিও ব্যাগে বালি ভর্তি করে নদীর তীরে ফেলার ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যেই ব্যাগ ছিঁড়ে বালি বের হয়ে যাওয়ার অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা।
জানা যায়, মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বিভাগের একটি প্রকল্পের আওতায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে উপজেলার গোপীনাথপুর উজানপাড়া থেকে কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের বৌদ্ধকান্দি পর্যন্ত পদ্মা নদীর তীর রক্ষায় চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের কাজ শুরু হয়। প্রায় সাড়ে ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে কাজটি পায় মেসার্স এম এ এন্টারপ্রাইজ। তিন মাস মেয়াদি কাজের সময়সীমা নির্ধারণ করা হলেও ৫ মাসে শেষ হয়েছে মাত্র ৭০ শতাংশ কাজ।
আরএম জিওটেক্স লিমিটেডের তৈরি এসব জিও ব্যাগ পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে সরবরাহ করা হয়েছে বলে দাবি করছেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী সানোয়ার হোসেন।
এরইমধ্যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নিম্নমানের কাজের ব্যাপারে কথা হয়েছে বলে জানান কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী বনি ইসলাম রূপক।
স্থানীয়রা বলছেন, একেক জায়গায় ফাঁকা রেখে ফেলা হচ্ছে জিও ব্যাগ। কোথাও মাটি উঁচু করে ফেলে রাখা হয়েছে। আবার অনেক জিও ব্যাগের মুখ খোলা রেখেই বাঁধ দেওয়া হচ্ছে। ফলে জোয়ারের পানির স্রোতে এখনই ভেসে যাচ্ছে বালি।
মন্তব্য করুন