সুন্দরী নারীদের পাশাপাশি এলাকার বেকার যুবকদের প্রতিও টার্গেট ছিল প্রবাসী আল মামুনের। প্রতিমাসে এক লাখ বা তারও বেশি টাকা বেতন দেওয়া হবে এমন প্রলোভন দেখিয়ে বেকার যুবকদের কাছ থেকে ৮-১০ লাখ টাকা করে হাতিয়ে নিতেন মামুন। একসময় নদীতে মাছ ধরা সেই মামুন আজ কোটিপতি।
নানা প্রলোভন দেখিয়ে বেকার যুবকদের সৌদিতে নেওয়ার পরে কথা মতো কাজ দেওয়া হতো না তাদের। বেতনও দেওয়া হতো খুব সামান্য। যদি কেউ তার অন্যায়ের প্রতিবাদ করে তার কপালেই নেমে আসে দুঃখ। টর্চার সেলে নিয়ে চালানো হয় আমানসিক নির্যাতন। অন্ধকার রুমে আটকে রেখে দেওয়া হয় মানসিক শাস্তিও।
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার দক্ষিণ চরদুয়ানি এলাকার প্রবাসী আল মামুনের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। মামুনের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে অনেকেই পালিয়ে এসেছে দেশে। ধার করে ৮ লাখ টাকা দিয়ে প্রবাসে নিয়ে ৪ বছরেও দেনা পরিশোধ করতে পারেনি অনেকেই। এলাকার কয়েকশ বেকার যুবক তার এ প্রতারণার শিকার।
তবে প্রবাসী আল মামুনকে দেশে বসে সহযোগিতা করার অভিযোগ আছে দক্ষিণ চরদুয়ানির ইউপি সদস্য ফোরকান মিয়ার বিরুদ্ধে। যার সঙ্গে প্রতিদিনই যোগাযোগ হয় মামুনের। তবে এ বিষয়টি নিয়ে ইউপি সদস্য ফোরকান মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর দেননি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুকুনুজ্জামান খান জানান, এরই মধ্যে আল মামুনের বিষয়টি তিনি জেনেছেন। কেউ অভিযোগ দিলে খোঁজখবর নিয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
প্রবাসীদের সুন্দরী স্ত্রীদের টার্গেট করে প্রথমে তাদের স্বামীকে বিদেশ নেওয়ার ব্যবস্থা করেন মামুন। এরপর প্রবাসে স্বামীকে জিম্মি করে দেশে থাকা স্ত্রীকে ভিডিও কলে নগ্ন হতে বাধ্য করেন। একপর্যায়ে দেশে এসে স্ত্রীদের ধর্ষণ করেন। এভাবে চলতে থাকে দিনের পর দিন। যখনই স্ত্রী বেঁকে বসে, তখনই বিদেশে স্বামীকে নির্যাতন করা হয়।
মন্তব্য করুন