হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজলার জলসুখা ইউনিয়নের মাধবপাশা গ্রাম। এই গ্রামে অনন্ত পাঁচশ পরিবারের বাস। ভোটার সংখ্যা প্রায় দেড় হাজার। এই গ্রামের হাজারও মানুষের চিকিৎসাসেবার একমাত্র ভরসা মাধবপাশা কমিউনিটি ক্লিনিক। বর্ষা মৌসুমে এলেই প্রায় তিন থেকে চার মাস বন্ধ থাকে এই কমিউনিটি ক্লিনিক। আর এতে ভোগান্তিতে পড়েন এই গ্রামের হাজারও মানুষ।
গ্রামের রাস্তা থেকে মাত্র ৫০ ফুট দূরত্বে বছরের পর বছর বর্ষা মৌসুমে কয়েক মাস ক্লিনিকটি পানিবন্দি থাকলেও এখন পর্যন্ত তৈরি হয়নি কোনো সংযোগ সড়ক। আর এতে করে প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে ক্লিনিকটি বন্ধ থাকায় চার থেকে পাঁচ মাস সেবা বঞ্চিত থাকেন গ্রামের স্বাস্থ্যসেবা গ্রহীতারা।
স্থানীয়রা জানান- বর্ষা মৌসুমে গ্রামে সর্দি-জ্বর, কাশিসহ, পানিবাহিত নানা ধরনের রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। কিন্তু যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে কমিউনিটি ক্লিনিকটিতে যাওয়া যাচ্ছে না। সামান্য অসুখ হলেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অথবা স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকদের কাছে যেতে হয় এলাকাবাসীকে। স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ ও জনপ্রতিনিধিদের হস্তক্ষেপে কমিউনিটি ক্লিনিকের সঙ্গে সংযোগ রাস্তা নির্মাণের দাবি জানান স্থানীয়রা।
মাধবপাশা গ্রামের প্রবীণ আশোক আলী ও আমির হোসেন বলেন, বর্ষা মৌসুমের আষাঢ় মাসের মাঝামাঝি থেকে আশ্বিন মাসের শেষ অবধি ক্লিনিকটি পানিবন্দি থাকে। পানি নামার পর কাদাঁ শুকিয়ে রাস্তাটি ঠিক হতে সময় নেয় আরও মাস খানেক। একটি সংযোগ সড়কের অভাবে বছরে প্রায় পাঁচ মাস ক্লিনিকটি বন্ধ থাকে।
মাধবপাশা কমিউনিটি ক্লিনিকের হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার রাশিনা আক্তার জানান, যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় বর্ষাকালে গ্রামবাসী সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তবে এ সময়ে বাড়িতে গিয়ে চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
জলসুখা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফয়েজ আহমেদ খেলু বলেন, আগামী শুকনো মৌসুমে পরিষদ থেকে ক্লিনিকের সঙ্গে সংযোগ রাস্তার ব্যবস্থা করা হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ক্লিনিকের সঙ্গে গ্রামের একটি সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল স্থানীয় কিছু লোকের বাঁধার কারণে তা হয়নি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা আন্তরিক হলেই একটি রাস্তা নির্মাণ করে সেবা গ্রহীতাদের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা সম্ভব।
মন্তব্য করুন