রাজবাড়ীর পাংশায় আবু বক্কর সিদ্দিক (৪০) নামে এক বিএনপি কর্মীকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য মো. আরিফুলের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) সন্ধ্যায় মাছপাড়া ইউনিয়নের মেঘনা বাজারের মোস্তফা ও মিন্টু মৃধার দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
উপজেলার মাছপাড়া ইউনিয়নের মেঘনা খামারপাড়া গ্রামের আনসার আলী প্রামাণিকের ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক। অভিযুক্ত মো. আরিফুল ইসলাম পিন্টু উপজেলার মাছপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য। তবে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করছেন।
আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, মাছপাড়া ইউপি সদস্য আরিফুল ইসলাম পিল্টুর নেতৃত্বে ইউনিয়নের মেঘনা খামারপাড়া গ্রামের মফিজ মৃধার ছেলে কল্লোল মৃধা, আজিজ প্রামাণিকের ছেলে সুরুজ প্রামাণিক অরফে ওকে, আলিম শেখের ছেলে জাহিদুল ইসলামসহ ১০-১২ জন লোহার রড, ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে আমার ওপর অতর্কিত হামলা করে পিটিয়ে যখম করে পালিয়ে যায়।
কেন হামলা করেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমার চাচাত ভাই মোহাসিন উদ্দিন পিন্টু মেম্বারের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। তখন পিন্টুর নেতৃত্বে আমাদের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও আমার স্ত্রীকে পিটিয়ে আহত করা হয়। এ ঘটনায় আমরা একটি মামলা করি। পরে সাড়ে ৪ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের মাধ্যমে মামলার নিষ্পত্তি হয়। সেই টাকা দেওয়ার পর থেকে পিন্টু মেম্বার টাকা ফেরত চেয়ে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিলো।
তিনি আরও বলেন, আমি বিএনপি করি বিধায় গত ৮ তারিখে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের এক সাপ্তাহ আগে ঢাকা যাই। নির্বাচনের পর দিন দুপুরে বাড়ি আসি। বিকেলে বাজারে গেলে সন্ধ্যায় পিন্টুর নেতৃত্বে আমার ওপর হামলা করে।
মেঘনা বাজারের ব্যবসায়ী মোস্তফা জানান, আমার দোকানের সামনে বক্করকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। আমি তখন দোকানের ভিতরে ছিলাম। দোকান থেকে বেরিয়ে আসার আগেই সবাই পালিয়ে গেছে। কে বা কারা মেরেছে আমি কাউকে দেখতে পাইনি।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আরিফুল ইসলাম পিন্টু বলেন, মারামারির সময় আমি বাজারে ছিলাম না। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছে তা সম্পন্ন মিথ্যা।
হাসপাতালের জরুরী বিভাগে দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক ডা. সোজা উদ্দিন সোহাগ জানান, সন্ধ্যা ৭ টার দিকে তিনি আহত অবস্থায় হাসপাতালে আসেন। নাক, মুখসহ তার শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্ষতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে পাংশা মডেল থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, বিষয়টি অবগত হয়ে হাসপাতালে পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়েছে। আহতের খোঁজ খবর নিয়েছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন