কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলা পরিষদের চতুর্থতম নির্বাচন এবং সারাদেশের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন মঙ্গলবার (২১ মে) অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় ধাপের এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে মাত্র একদিন পর।
পেকুয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন একমাত্র নারী প্রার্থী রুমানা আক্তারসহ ৪ জন। পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
পেকুয়া উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, এবারের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী একমাত্র নারী প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যানের স্ত্রী রুমানা আক্তার (আনারস), সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু (ঘোড়া), উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম (মোটরসাইকেল), জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফুল ইসলাম (দোয়াত কলম)।
পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আজিজুল হক (টিউবওয়েল), মাহবুবুল করিম (তালাচাবি), মমতাজুল ইসলাম (চশমা), নাছির উদ্দিন (মাইক), শাহাব উদ্দিন (উড়োজাহাজ)।
এদিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪ প্রার্থী। তারা হলেন, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান উম্মে কুলসুম (ফুটবল), রাজিয়া সোলতানা (প্রজাপতি), ইয়াসমিন সোলতানা (কলসি), আজমীর নূরে জান্নাত (চুন্নি)।
পেকুয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসের ওয়েবসাইটে দেওয়া প্রার্থীদের হলফনামা পর্যালোচনায় দেখা যায়, ৪ প্রার্থীর মধ্যে শিক্ষায় এগিয়ে আছেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ড. মুহাহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম সজিব, অর্থ সম্পদে এগিয়ে আছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম। সাবেক ২ বারের উপজেলা চেয়ারম্যান রাজু তার পেশা এবং ব্যবসায় উল্লেখ করেন কৃষি কাজ ও লবণ ব্যবসা। একমাত্র নারী প্রার্থী ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী রুমানা আক্তারের স্বর্ণ রয়েছে মাত্র ১ ভরি যার মূল্য এক লাখ ১০ হাজার টাকা।
উচ্চশিক্ষিত ড. আশরাফুল ইসলাম ডক্টর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডিগ্রি নিয়েছেন। তার মামলা রয়েছে ২টি, যা উচ্চ আদালতে স্থগিত রয়েছে। নগদ টাকা, ব্যবসায় পুঁজিসহ তার অর্থ সম্পদ রয়েছে ৩৮ লাখ ৯১ হাজার ৯০৬ টাকা। তার পেশায় উল্লেখ করেছেন পরামর্শক।
সাবেক দুই বারের উপজেলা চেয়ারম্যান শাফয়েত আজিজ রাজু পাশ করেছেন বিকম। তার অর্থসম্পদ ১৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা। তৎমধ্যে ৭০ হাজার টাকা দামের একটি পুরাতন মোটরসাইকেলও রয়েছে। জমিদার পরিবারের সন্তান হলেও তার নামে জমি রয়েছে মাত্র ১৪৬ শতক। বিএনপি নেতা রাজু দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করায় দল থেকে বহিষ্কারও হয়েছেন। তার পেশা এবং ব্যবসায় উল্লেখ করেন, কৃষি কাজ ও লবণ ব্যবসা।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম অর্থসম্পদে এগিয়ে রয়েছেন সবার চেয়ে। তার সম্পদের পরিমাণ ৫৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা। রয়েছে ৬০ হাজার টাকা দামের লাইসেন্স করা একটি শাটার গান বন্দুক এবং ৫ লাখ টাকা দামের একটি নোহা গাড়ি। শিক্ষাগত যোগ্যতার কলামে উল্লেখ করেছেন স্ব-শিক্ষিত। পেশায় তিনি একজন ঠিকাদার ও ড্রামট্রাক ও পিকআপ ভাড়া দেওয়া নেওয়ার ব্যবসা করেন।
একমাত্র নারী প্রার্থী রুমানা আক্তার বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী। স্বামী জাহাঙ্গীর আলমের প্রার্থিতা বাতিল হলে স্ত্রী রুমানা আক্তার এবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পেশায় তিনি একজন গৃহিণী এবং স্ব-শিক্ষিত। স্বর্ণালংকারের কলামে তিনি উল্লেখ করেন তার রয়েছে মাত্র এক ভরি স্বর্ণ যার মূল্য ১ লাখ ১০ হাজার টাকা। তার মোট অর্থসম্পদের পরিমাণ ৪১ লাখ ৩৪ হাজার ৫৪৫ টাকা।
মন্তব্য করুন