বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরের আঞ্চলিক পরিবেশ ও সামাজিক প্রভাব মূল্যায়নের খসড়া প্রতিবেদনের ওপর অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে এ মতবিনিময় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কারণে সংশ্লিষ্ট পরিবেশগত সামাজিক ঝুঁকি এবং প্রভাব নিয়ে আলোচনা হয়।
চট্টগ্রামের মীরসরাই, সীতাকুণ্ড এবং ফেনীর সোনাগাজী এলাকাজুড়ে বিস্তৃত এ মহাপরিকল্পনাটি তিন ধাপে বাস্তবায়নের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। প্রথম দুই ধাপ পাঁচ বছর এবং তৃতীয় ধাপ ১০ বছরমেয়াদি।
কর্মশালায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান এ মহাপরিকল্পনা সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মুক্ত করেছে উল্লেখ করে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরী বাস্তবায়িত হলে আর্থ-সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হবে। তবে একইসঙ্গে এ মহাপরিকল্পনা যেন পরিবেশগত কোনো ঝুঁকি না নিয়ে আসে, সেদিকেও আমাদের নজর রয়েছে।’
এ সময় তিনি এ শিল্পনগরীকে সবুজ এবং টেকসই হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, ‘দীর্ঘমেয়াদে ইইউসহ উন্নত বিশ্বের বাজার ধরতে চাইলে সবুজ এবং টেকসই শিল্পায়নের বিকল্প নেই, তাই আমরা সেভাবেই এ শিল্পনগরী গড়ে তোলার দিকে মনোযোগ দিচ্ছি।’
এ সময় তিনি নিশ্চিত করেন- এই পরিকল্পনা অনুযায়ী সংরক্ষিত বনাঞ্চলে কোনো গাছ কাটা হবে না এবং ভূ-গর্ভস্থ পানি রক্ষায় কাজ করা হবে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরী শিল্পের বিস্তার ঘটাবে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং অপরিকল্পিত শিল্পায়ন কমাবে, এ মহাপরিকল্পনা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ভিন্ন ইতিবাচক দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
চট্টগ্রাম-১ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুব উর রহমান বলেন, ভৌগোলিক দিক থেকে এই শিল্পনগরীর অবস্থান সুবিধাজনক; বহির্বিশ্ব চীনের বাইরে বিনিয়োগ করতে চাইলে যেন বাংলাদেশের কথা ভাবতে পারে, সেভাবেই আমাদের গড়ে তুলতে হবে এই শিল্পনগরটি। এ সময় তিনি এই অঞ্চলের পর্যটন খাতেও যেন উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসে, তা নিশ্চিতকরণেও পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ বিপি পিপিএম, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজিসহ জেলা প্রশাসন, বেজা ও অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তারা।
মন্তব্য করুন