রাজশাহীর পবা ও মোহনপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (২৯ মে) এ দুই উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা বিভিন্ন কেন্দ্রে সংঘর্ষে জড়ালে এ ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে মোহনপুরে ১২ জন এবং পবায় ১ জন আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাজশাহীর পবা উপজেলার পারিলা ইউনিয়নের পারিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে আনারস প্রতীকের প্রার্থী ফারুক হোসেন ডাবলু ও ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী এমদাদুল হকের সমর্থকদের মধ্যে ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে বেলা ১১টার দিকে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে একজন ছুরিকাহত হলে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ ও বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত আব্দুল মোমিন পবা উপজেলার পারিলা ইউনিয়নের চকপাড়া গ্রামের মো. শুকটার ছেলে। আব্দুল মোমিন ঘোড়া প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী এমদাদুল হকের সমর্থক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থীর কয়েকজন কর্মী-সমর্থক অটোরিকশায় চড়ে ভোটকেন্দ্রে আসেন। এ সময় ভোটকেন্দ্রের সামনে আনারস প্রতীকের সমর্থক পাভেল, পুলক, স্বদেশ, সাইম, শাওন, ফরহাদুল, সাগর, হৃদয়, জাকির, মনি, মোসাব্বির, সোহানসহ প্রায় ২০-২৫ জন মোমিনকে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে তারা সরে গেলে এমদাদুল হকের সমর্থকরা আহত ব্যক্তিকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
এ বিষয়ে ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার গোলাম রাব্বানী বলেন, কেন্দ্রের বাইরে কী হয়েছে, তা আমার জানা নেই। কেন্দ্রের ভেতর কিছু হয়নি।
অন্যদিকে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার সিংহমারা, হাটরা, মহিশকুণ্ডি কেন্দ্রের বাইরে আনারস ও কাপ পিরিচ প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হন। তবে এসব ঘটনার পরেও নিরবচ্ছিন্নভাবে প্রায় প্রত্যেকটি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে। নির্বাচনকে ঘিরে যে কোনো ধরনের সংঘর্ষ বা অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কেন্দ্রের বাইরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসক (ডিসি) শামীম আহমেদ জানান, তারা সকাল থেকেই পবা-মোহনপুর উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখছেন, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই নির্বাচন হয়েছে। তবে কয়েকটি এলাকায় কিছু অতি উৎসাহী মানুষ গোলোযোগ সৃষ্টির চেষ্টা করছে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সমন্বয়ের মাধ্যমে ঘটনাগুলো প্রতিহত করছেন।
মন্তব্য করুন