পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী তানভীর ইসলামের পাঁচ সমর্থকদের কুপিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে পরাজিত প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
এ ছাড়া হামলা চালিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে।
সোমবার (৩ জুন) রাত সাড়ে ১১টার দিকে আটঘরিয়া বাজার সংলগ্ন ইসারত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আহতরা হলেন- উপজেলার চাঁদভা ইউনিয়নের কুঠিপাড়ার জিয়াউর রহমান, পৌর এলাকার বুলবুল ফকির, রনি, জাহিদ ও ভোলা। এদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় জিয়াউরকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের আটঘরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
দলীয় নেতাকর্মীরা জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে থেকে রাত সাড়ে ১১টার দিকে নেতাকর্মীরা বাড়ি ফেরার পথে ইশারত উচ্চ বিদ্যালয় পাশে পৌঁছালে প্রতিপক্ষ চেয়ারম্যান পদে পরাজিত প্রার্থী মো. সাইফুল ইসলাম কামালের সমর্থক জুয়েল, শাহা আলম ও প্রিন্স বাহিনী হামলা করে।
এ সময় ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়িভাবে কুপিয়ে পাঁচজনকে গুরুতর আহত করে। পরে তারা উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ঢুকে আসবাবপত্র, টেলিভিশন, বঙ্গবন্ধুর ছবি ও ৩টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এ সময় আশপাশের লোকজন আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আটঘরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র শহিদুল ইসলাম রতন বলেন, নির্বাচনের পর থেকেই বিজয়ী চেয়ারম্যান ও তার লোকজনের ওপর হামলার পরিকল্পনা ছিল। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে জুয়েলের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়। এতে পাঁচজনকে কুপিয়ে জখম করেছে। উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের আসবাবপত্র, টেলিভিশন ও ৩টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিও ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোনটি রিসিভ করেন আফজাল হোসেন নামে একজন। তার পিএস পরিচয় দিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় তারা (হামলাকারীরা) মার খেয়েছিল, কালকে তারা মার দিয়েছে। নির্বাচনের দিন যে মারামারি হয়েছিল কালকে তার প্রতিশোধ হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, নির্বাচন পরবর্তীতে আটঘরিয়ার পরিস্থিতি শান্তই ছিল কিন্তু গতকাল হঠাৎ করে এমন একটি ঘটনার ঘটল। এ ব্যাপারে আমাদের জিরো টলারেন্স।
তিনি বলেন, দোষীদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আশা করি খুব শিগগিরই দায়ীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
মন্তব্য করুন