সরকারের করা তালিকায় নাম দেখে বড় আশায় বুক বাঁধেন আলী আহাম্মদ। এই বুঝি একটি ভিটের মালিক হবেন। সেই আশা আরও পাকাপোক্ত হয় ২০২০ সালে। তখন উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫ শতক জায়গার দলিল, নামজারিসহ খতিয়ান তুলে দেওয়া হয় আলী আহাম্মদের হাতে।
কিন্তু সেই ৫ শতক জমি আর কপালে জোটেনি আলী আহাম্মদের। স্থানীয় যুবলীগ নেতার আত্মীয় হওয়ায় বাসির মিয়া নামের এক প্রভাবশালী গিলে খেয়েছেন আলী আহাম্মদকে দেওয়া জায়গা। দখল করা সেই ভূমি ফিরে পাওয়ার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে বারবার লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি তিনি। উল্টো তাকে বিভিন্ন সময় হুমকি-ধমকি দেন তারা।
এমন ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা গ্রামে। জানা গেছে, ২০১৮ সালে ভূমিহীনের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর ২০২০ সালে মুরাদনগর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিলের মাধ্যমে ৫ শতক জমি কবুলিয়াত দলিল মূলে স্থায়ী বন্দোবস্ত পান আলী আহাম্মদ। সেখানে পাঁচ শতক জায়গা ৯৯ বছরের জন্য স্থায়ী বন্দোবস্ত দেওয়া হয় তাকে।
সেই জায়গার দলিল বুঝে পেলেও আজও তা বুঝে পাননি তিনি। বন্দোবস্ত পাওয়ার পর থেকে প্রভাবশালী বাঙ্গরা গ্রামের বাসির মিয়া জোরপূর্বক দখল করেন সেই জায়গা। এরপর রাতারাতি ভেকু দিয়ে জায়গাটির মাটি কেটে পুকুর বানিয়ে মাছচাষ শুরু করেন তারা।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বাসির মিয়া বলেন, ওই জায়গার আশপাশে সব তাদের সম্পত্তি। খাস জায়গাটায় তাদের দাবি সবচেয়ে বেশি।
উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার নাসরিন সুলতানা নিপা বলেন, অভিযোগ পেয়ে তিনি খতিয়ে দেখছেন। আলী আহাম্মদের কাগজপত্র সঠিক। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণের বিশেষ প্রকল্পের আওতায় জেলা প্রশাসনের করা ভূমিমিহীনদের তালিকায় ২০১৮ সালে নাম ওঠে আলী আহাম্মদের। জায়গাটির সঠিক কাগজপত্র যাছাই করে দ্রুত এই সমস্যা সমাধানের দাবি স্থানীয়দের।
মন্তব্য করুন