শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১০ জুন ২০২৪, ০১:৩৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

পাহাড়ে প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা দেশি গরুর চাহিদা তুঙ্গে

গারো পাহাড়ের সমতলভূমিতে কচি ঘাস ও লতাপাতা খাচ্ছে গবাদিপশু। ছবি : কালবেলা
গারো পাহাড়ের সমতলভূমিতে কচি ঘাস ও লতাপাতা খাচ্ছে গবাদিপশু। ছবি : কালবেলা

ভারতের মেঘালয় সীমান্তঘেঁষা দেশের উত্তরের জনপদ শেরপুর জেলার তিনটি উপজেলা গারো পাহাড়বেষ্টিত। জেলার শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তজুড়ে গারো পাহাড়ের এই তিনটি উপজেলার ৯০ শতাংশ মানুষ কৃষিনির্ভর। কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতি বছরের মতো এবারো এসব এলাকায় পালন হচ্ছে দেশি গরু। ক্ষেতের কচি ঘাস ও লতাপাতা খাইয়ে বড় করা হচ্ছে গরুগুলোকে।

তবে প্রাকৃতিকভাবে লালন পালন করায় কোরবানির ঈদে এসব গরুর চাহিদা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। ইতোমধ্যেই এসব গরু কিনতে জেলার বাইরে থেকে আসতে শুরু করেছে পাইকার ও স্বাস্থ্য সচেতন ক্রেতারা। এ ছাড়াও নিরাপদ মাংসের জন্য ক্রেতাদের দেশি গরুর ওপর আস্থা রাখার পরামর্শ জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের।

খামারিরা জানান, স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ ও পাহাড়ে পর্যাপ্ত ঘাস ও লতাপাতা থাকায় গরুগুলোর পেছনে আলাদা কোনো খরচ নেই। যে কারণে অন্যান্য এলাকার চেয়ে গরু পালনে তাদের লাভের পরিমাণও বেশি। প্রতিদিন খামারিরা সকাল ৮টায় তাদের গরু পাহাড়ে ছেড়ে দেয়। সারাদিন রোদবৃষ্টিতে ভিজে জমির কচি ঘাস ও পাহাড়ের লতাপাতা খায়। বিকেল ৪টায় গরুর রাখালরা গরুগুলো একত্রে করে বাড়ি ফিরে নিয়ে আসে।

জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলার পাঁচটি উপজেলার ছোট বড় প্রায় ১৩ হাজার ৭৩১ জন খামারি রয়েছেন। এ ছাড়াও অনেক পরিবার ব্যক্তিগতভাবে গরু মহিষ ও ছাগল পালনের সঙ্গে জড়িত। এবার কোরবানির জন্য শেরপুর জেলায় ৫১ হাজার ২২৫টি পশুর চাহিদা থাকলেও প্রস্তুত হয়েছে ৮৩ হাজার ৮০২টি পশু, যা চাহিদার তুলনায় প্রায় ৩২ হাজার বেশি। পশুগুলো হলো, ৪০ হাজার ২৭০টি ষাঁড়, ২ হাজার ৮৬৫টি বলদ, ১৩ হাজার ৭৯৪টি গাভি, ১ হাজার ৩৮৬টি মহিষ, ২২ হাজার ৩৯টি ছাগল, ৩ হাজার ৪৪৮টি ভেড়া। প্রস্তুত করা এসব পশু নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বাইরে হাট বাজারগুলোতে বিক্রি হবে। এদের মধ্যে সীমান্তবর্তী তিন উপজেলায় প্রায় ৩৫ হাজার গরু পালন হচ্ছে। আর এসব গরুর পেছনে প্রায় ৪ হাজার পরিবার জড়িত।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার ডা. রেজওয়ানুল হক ভুঁইয়া জানান, কোরবানির পশুকে অসদুপায়ে মোটাতাজা না করার জন্য আমরা বিভিন্ন এলাকায় সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন করেছি। তবে পাহাড়ি এলাকার গরুগুলো সবচেয়ে নিরাপদ। কারণ তারা গরু মোটাতাজা করতে কোনো প্রকার ওষুধ ব্যবহার করেন না। এ জন্য পাহাড়ি গরুর চাহিদা সারাদেশব্যাপী। অনেক পাইকার ইতোমধ্যে পাহাড় এলাকায় গরু কিনতে আসতে শুরু করেছে। এ ছাড়াও যারা স্বাস্থ্য সচেতন তারা পাহাড়ি গরু কিনতে বেশি আগ্রহী।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভারতকে হারানোর পর ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কারা জানা গেল

অলংকারে মুগ্ধ দর্শক

ডে কেয়ার সুবিধাসহ চাকরি দিচ্ছে ব্র্যাক

টিভিতে আজকের যত খেলা

কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প

কবরস্থানের জমি নিয়ে বিরোধ, সংঘর্ষে আহত ১৩ 

প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে আলোচনায়

স্কুলে হামলা চালিয়ে ২২৭ শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে অপহরণ

আজ যেমন থাকবে ঢাকার আবহাওয়া

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

১০

ঢাকা পৌঁছেছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

১১

শীতে ত্বকের যত্ন ও চর্মরোগ থেকে পরিত্রাণের উপায়

১২

গাজায় যুদ্ধবিরতির পর ৬৭ ফিলিস্তিনি শিশু নিহত: জাতিসংঘ

১৩

এইচএসসি পাসেই মেঘনা গ্রুপে চাকরির সুযোগ 

১৪

তিন দিনের সফরে আজ ঢাকায় আসছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী

১৫

শনিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

১৬

আজ ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়

১৭

২২ নভেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

১৮

বৈঠকের পর মামদানির প্রশংসায় ট্রাম্প

১৯

শ্রমিকদের স্বার্থে পাঁচ দফা বাস্তবায়নের আহ্বান শেখ বাবলুর

২০
X