শেরপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১১ জুন ২০২৪, ১১:৫৯ এএম
অনলাইন সংস্করণ

বাসক পাতা সংগ্রহের উদ্যোগ নেই, আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত অংশীজনরা

গারো পাহাড়ে তৈরি করা বাসক বাগান। ছবি : কালবেলা
গারো পাহাড়ে তৈরি করা বাসক বাগান। ছবি : কালবেলা

সুফল প্রকল্পের আওতায় শেরপুরের গারো পাহাড়জুড়ে তৈরি করা হয়েছে ভেষজ চিকিৎসা ব্যবহৃত বাসক পাতার বাগান। দীর্ঘ তিন বছরের অধিক সময় পার হলেও পরিপক্ব বাসক গাছ থেকে পাতা সংগ্রহের কোনো উদ্যোগ নেই বন বিভাগের।

বাগানের অংশীজনদের দাবি, সঠিক সময়ে পাতা সংগ্রহ না করার ফলে ঝরে পড়ছে পাকা পাতা। মূল্যবান এ ঔষধি গাছের পাতার প্রচুর চাহিদা থাকলেও নিলাম প্রক্রিয়ার জটিলতায় হচ্ছে না পাতা বিক্রি। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন পাহাড়ে বসবাসকৃত অতি নিম্নআয়ের মানুষ।

সম্প্রতি শ্রীবরদী উপজেলার বালিঝুড়ি রেঞ্জের আওতায় বিভিন্ন বাগানে গিয়ে দেখা গেছে, ভেষজ চিকিৎসায় বাসক পাতার বাগান পাহাড়জুড়ে ছেয়ে গেছে। উঁচুনিচু পাহাড়ে যেন সবুজে ঢেউ খেলছে। অনেক গাছের নিচে ঝরে পড়ে আছে পাকা পাতা। দীর্ঘ তিন বছরের অধিক সময় পার হলেও পরিপক্ব বাসক গাছ থেকে পাতা সংগ্রহ না করায় ঝরে পড়ছে পাকা পাতা।

বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের আওতায় গারো পাহাড়ের তিন রেঞ্জে ৬ হাজার ৫৮০ একর জমিতে সুফল বাগান করে বন বিভাগ। এতে রোপণ করে দেশীয় বৃক্ষ, ফল ও ঔষদিসহ ৬০ প্রজাতির প্রায় ৫০ লাখ বৃক্ষ। এর আওতায় ২০১৯-২০, ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ অর্থ বছরে বালিজুড়ি, রাংটিয়া ও মধুটিলা রেঞ্জের আওতায় ২৪৫ হেক্টর জমিতে বাসক পাতার গাছ লাগানো হয়।

বাগানের অংশগ্রহণকারীরা জানান, একটি গাছ থেকে বছরে তিনবার পাতা তোলা যায়। শুকানোর পর একটি গাছ থেকে কয়েক কেজি পাতা পাওয়া যায়। এক কেজি শুকনো পাতার মূল্য ৫০ টাকার উপরে। একবার চারা গাছ লাগানো হলে বহু বছর পর্যন্ত সেই গাছ থেকে পাতা পাওয়া যায়। সঠিক সময়ে পাতা সংগ্রহ না করার ফলে ঝরে পড়ছে পাকা পাতা। গাছ লাগানোর ৬ মাস কিংবা ১ বছর পর থেকেই পাতা সংগ্রহ শুরু করা গেলেও তিন বছর পরেও তোলা হচ্ছে না পাতা। ফলে আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।

বাংলাদেশ ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান প্রাঞ্জল এম সাংমা বলেন, আমরা পাহাড়ে বসবাস করি। আমাদের অনেকেই এসব বাগানের অংশীজন। বাসকের পাতা দিয়ে দেশের নামকরা ওষুধ কোম্পানিগুলো কাশির সিরাপ তৈরি করছে। এভাবে পাতা নষ্ট না করে বিক্রি করলে স্থানীয়রা লাভবান হবেন।

ময়মনসিংহ বন বিভাগের বালিজুড়ি রেঞ্জ অফিসার মো. সুমন মিয়া বলেন, দ্রুতই নিলামের মাধ্যমে পরিপক্ব বাসক গাছ থেকে পাতা বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সৌদিগামী যাত্রীদের জন্য সুখবর

এমবাপ্পের একমাত্র গোলে রিয়ালের কষ্টার্জিত জয়

ম্যানসিটি ছাড়ছেন আর্জেন্টিনার ‘নতুন মেসি’

‘৫১ লাখ টাকার স্টেডিয়াম ১৪ কোটিতে করার অনুমোদন’, কী ব্যাখ্যা দিলেন সচিব

জনপ্রিয় ব্রিটিশ পত্রিকায় বাংলাদেশ নারী দলের প্রশংসা

ইউআরপি ও ডিএলআর মডিউল প্রস্তুত / মালয়েশিয়ায় শ্রমিক যাবে শূন্য অভিবাসন ব্যয়ে

রাশিয়া শক্তিশালী, এটা মেনে নিতেই হবে : ট্রাম্প

ময়মনসিংহ থেকে বাস চলাচল শুরু, ভাঙচুরের ঘটনায় কমিটি

আইপিএলে ভালো করলেও ভারত দলে জায়গা নিশ্চিত নয়

ফেব্রুয়ারির কত তারিখে রোজা শুরু হতে পারে 

১০

দুই শিক্ষককে প্রাণনাশের হুমকি প্রদানের ঘটনায় আহমাদুল্লাহর উদ্বেগ

১১

সরকারি কর্মচারীরা দাফনের জন্য পাবেন টাকা

১২

দেড় যুগেও নির্মাণ হয়নি জহির রায়হান মিলনায়তন

১৩

দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা, দুই উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি

১৪

৫ অভ্যাসে বার্ধক্যেও ভালো থাকবে হৎপিণ্ড

১৫

অনশন প্রত্যাহার করল বেরোবি শিক্ষার্থীরা

১৬

‘ভুল চিকিৎসায়’ একদিনে দুই শিশুর মৃত্যু

১৭

সরকারি কর্মচারীদের জন্য সুখবর

১৮

কাভার্ডভ্যানের চাপায় মা-মেয়ের মৃত্যু

১৯

মাস্ক পরে হাসপাতালে দীপু মনি

২০
X