

বগুড়ার জেলা বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা ও শেরপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক জানে আলম খোকার দল থেকে বহিষ্কারাদেশ দীর্ঘ পাঁচ বছর পর প্রত্যাহার করা হয়েছে।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে শেরপুর পৌর বিএনপির এক বিশেষ সাংগঠনিক সভায় এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
শেরপুর টাউন ক্লাব পাবলিক লাইব্রেরি ও মহিলা অনার্স কলেজ চত্বরে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন শেরপুর পৌর বিএনপির সভাপতি স্বাধীন কুমার কুন্ডু।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে স্বাধীন কুমার কুন্ডু বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা মুঠোফোনে তাকে জানিয়েছেন যে, জানে আলম খোকার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে সভাস্থলে উপস্থিত নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ ও উদ্দীপনা ছড়িয়ে পড়ে।
বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের খবরে স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন এবং এ সিদ্ধান্তের জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানিয়ে স্লোগান দেন।
বিশেষ সভায় শেরপুর পৌর বিএনপির কমিটির সব সদস্যসহ পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় আরও বক্তব্য দেন পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ জুয়েল, হাসানুল মারুফ শিমুল, পৌর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম সম্রাট, আইয়ুব আলী মণ্ডল প্রমুখ।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, জানে আলম খোকা ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৫ আসন (শেরপুর-ধুনট) থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। পরে ২০২১ সালের শেরপুর পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে নির্বাচন করে বিজয়ী হন। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় ২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বর তাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়।
শেরপুর শহর বিএনপির সূত্র জানায়, বহিষ্কারের পরও জানে আলম খোকা বিভিন্ন সময় দলীয় আন্দোলন-কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তিনি একাধিক মামলায় হয়রানির শিকার হন বলেও দলীয় নেতাদের দাবি।
জানে আলম খোকা বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনীত প্রার্থীকে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিয়ে বিএনপিকে বিজয়ী করতে দলের সব নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন