নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে ২৪৫ জন এমএইচভিদের বেতন-ভাতার প্রায় ৯ লাখ টাকা অডিট অজুহাতে নিয়মবহির্ভূতভাবে কর্তন করে নিজ অ্যাকাউন্টে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভিন্ন ইউনিয়নের ক্লিনিকে কর্মরত ভুক্তভোগী মাল্টি হেলথ ভলান্টিয়াররা (এমএইচভি) অভিযোগ করেছেন।
ভুক্তভোগীরা জানায়, উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের ৩৫টি ক্লিনিকে ২৪৫ জন এমএইচভি কর্মরত রয়েছেন। তাদের ১২ মাসের বেতনের জন্য জুন মাসে ১ কোটি ৫ লাখ ৮৪ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। অডিট অজুহাতে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা প্রত্যেকের ১ মাসের বেতন ভাতার ৩৬শ’ করে টাকা কর্তন করে ৮ লাখ ৮২ হাজার টাকা নিজ অ্যাকাউন্টে নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ভুক্তভোগী জানান, এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা দীর্ঘদিন থেকে এ উপজেলায় কর্মরত রয়েছেন। তিনি এর আগেও অনেক অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছেন। তার বিরুদ্ধে মুখ খুললেই ভুক্তভোগীকে তিনি সঙ্গে সঙ্গে শোকজ করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু শফি মাহমুদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে বেতন কর্তনের বিষয়টি স্বীকার করে জানান, অভিযোগকারীদের স্পেসিফিক নাম দেন। আমার ব্যক্তিগত কোনো অ্যাকাউন্ট নেই। সোনালী ব্যাংকে অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট রয়েছে। এমএইচভিদের কার্যক্রম অডিট করে বেতন ফেরত দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন