দেবিদ্বার প্রতিনিধি :
প্রকাশ : ২০ জুন ২০২৪, ০১:৪৫ পিএম
আপডেট : ২০ জুন ২০২৪, ০২:০৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

২০ বিঘা জমিতে ড্রাগন চাষ, বছরে আয় ২৫ লাখ

ড্রাগন বাগানে আবুল ফয়েজ মুন্সী। ছবি : কালবেলা
ড্রাগন বাগানে আবুল ফয়েজ মুন্সী। ছবি : কালবেলা

চার বছর আগে ইউটিউবে ড্রাগন চাষের ভিডিও দেখেন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাস করা বেকার যুবক আবুল ফয়েজ মুন্সী। স্বপ্ন দেখেন চাকরির পেছনে না ঘুরে হবেন কৃষি উদ্যোক্তা। প্রথমে সামান্য কিছু জমিতে ড্রাগন চাষ করেন। এতে পান সফলতাও। পরে শখের বসে বড় কলেবরে শুরু করেন ড্রাগন চাষ।

বর্তমানে প্রায় ২০ বিঘা জমিতে ড্রাগন ছাড়াও তিনি চাষ করছেন তরমুজ, পেয়ারা, ত্বীন ফল, বিদেশী জাতের রঙিন আম, ভিয়েতনামি মাল্টা, বড়ইসহ নানান জাতের ফল। এতে প্রতি বছর তার আয় হয় ২৫ থেকে ২৬ লাখ টাকা। তার বাগান দেখতে প্রতিদিন শত শত মানুষ ভিড় করছেন। কৃষি উদ্যোক্তা আবুল ফয়েজ মুন্সী দেবিদ্বার উপজেলার ছেপাড়া গ্রামের আলী আকবর মাস্টারের ছেলে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বাগানের প্রতিটি গাছের ডগায় ৫ থেকে ৬টি করে লাল ড্রাগন দুলছে। বাগানে আগত দর্শনার্থী ও ক্রেতাদের ড্রাগন দিয়ে আপ্যায়ন করাচ্ছেন ফয়েজ মুন্সী। ক্রেতারা নিজের হাতে পছন্দমতো গাছ থেকে ড্রাগন সংগ্রহ করছেন।

কৃষি উদ্যোক্তা ফয়েজ মুন্সী বলেন, প্রথম ইউটিউবে ভিডিও দেখে শখের বসে ড্রাগন চাষ শুরু করি। বর্তমানে ২০ বিঘা জমির মধ্যে ৫ বিঘা জমিতে ড্রাগন বাকি জমিতে অন্যান্য ফল বাণিজ্যিকভাবে চাষ করি। ৫ বিঘা জমিতে এক হাজার পিলারে ৮ হাজার ড্রাগন গাছ আছে। এতে খরচ হয়েছে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা। এখন প্রতি বছর ২৫ থেকে ২৬ লাখ টাকা আয় হয়। দর্শনার্থী ও ক্রেতারা বলছেন, গ্রামের লোকজন প্রথমে ফয়েজকে উপহাস করলেও এখন সবাই ভালোবাসেন। কারণ গ্রামের সবাই তার বাগান থেকে বিষমুক্ত ফল পাচ্ছেন। এতেই গ্রামের সবাই খুশি। বিভিন্ন গ্রাম থেকে অনেক লোক আসে এ গ্রামে বিভিন্ন ফল নিতে।

ফয়েজ মুন্সী আরও বলেন, উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেও চাকরির পেছনে ঘুরিনি। আমার অনেক ইচ্ছে ছিল কৃষি উদ্যোক্তা হব। বাজারের ফরমালিন দেয়া ড্রাগন খেয়ে প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ রোগাক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। সে থেকে আমি পরিকল্পনা করি আমার গ্রামের মানুষের আমি বিষমুক্ত তাজা ফল খাওয়াব। প্রথমে শখের বসে চাষ করলেও বর্তমানে আমি বাণিজ্যিকভাবে চাষ করছি। আমার বাগানে ১০ জন লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। আমি নিজেও বাগানের পরিচর্যা করি। অনেক দূরদূরান্ত থেকে লোকজন ফল নিতে আসে। আমি আরও জমি লিজ নিয়ে ব্যবসা পরিধি আরও বৃদ্ধি করব।

এ বিষয়ে দেবিদ্বার উপজেলা কৃষি অফিসার বানিন রায় বলেন, সুস্বাদু, পুষ্টিকর ও ওষধি গুণাগুণ থাকায় এ ফলের চাহিদা অনেক বেড়েছে। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলেও ড্রাগনের আবাদ দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এ ফলটি অনেক সুস্বাধু ও রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করছে। ফয়েজ মুন্সীর বাগান আমি নিজে পরিদর্শন করেছি। তাকে কৃষি অফিস থেকে বিভিন্ন সহযোগিতা ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। আশা করছি ফয়েজ মুন্সীর মতো আরও অনেকে ড্রাগন চাষে এগিয়ে আসবেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পুণ্ডরীক ধামে ফরহাদ মজহার, চিন্ময় দাসের মাকে দিলেন সান্ত্বনা

পাওনা টাকার জেরে ভ্যানচালককে হত্যা

চাঁদপুর শহরে মুক্তিযোদ্ধাকে মৃত দেখিয়ে ভাতা আত্মসাৎ করছেন স্ত্রী

নাটোরের প্রবীণ সাংবাদিক পিপলু মারা গেছেন

রাবি অ্যালামনাই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মুখোমুখি বিএনপি-জামায়াত

ঝিনাইদহে বজ্রপাতে প্রাণ গেল ২ কৃষকের

বিশেষ অভিযানে মোহাম্মদপুর থেকে ২০ জনকে গ্রেপ্তার

উল্টো পথে চলাচলে ডিএমপির দেড় শতাধিক মামলা

সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভয়াবহ হামলা

অনুমতি ছাড়া চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী গ্রেপ্তার না করার সুপারিশ

১০

সিলেটে আরও এক রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ

১১

পাকিস্তানকে চোখ রাঙিয়ে ভারতের বিশাল সামরিক মহড়া

১২

রাজধানীর নগর সংস্থাগুলোকে এক ছাতার নিচে আনার আহ্বান

১৩

মাদকাসক্ত তরুণের হাতে প্রাণ গেল ব্যবসায়ীর

১৪

তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন / বিদেশমুখী শ্রমিকদের পকেট কেটেছে টিকিট সিন্ডিকেট

১৫

দেড় লাখে শিশুকন্যাকে বিক্রি করলেন বাবা

১৬

নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চান ৪৯ বিশিষ্ট নাগরিক 

১৭

কুমিল্লায় ডোবা থেকে অনুর মরদেহ উদ্ধার

১৮

চরমোনাই পীরের দলে যোগ দিলেন বিএনপির সাবেক এমপি

১৯

জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. তাহের ও চীনের রাষ্ট্রদূতের মতবিনিময়

২০
X