ফরিদুল ইসলাম রাজু, নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৫ জুন ২০২৪, ১০:৪৭ এএম
অনলাইন সংস্করণ

ভালো নেই মাহালী জনগোষ্ঠীর বাঁশ শিল্পের কারিগররা

গৃহস্থালি কাজে ব্যবহৃত বাঁশের পণ্য ঝুঁড়ি বুনছেন মাহালী জনগোষ্ঠীর এক সদস্য। ছবি : কালবেলা
গৃহস্থালি কাজে ব্যবহৃত বাঁশের পণ্য ঝুঁড়ি বুনছেন মাহালী জনগোষ্ঠীর এক সদস্য। ছবি : কালবেলা

ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর একটি ছোট অংশ মাহালী জনগোষ্ঠী। দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় ৩ শতাধিক পরিবার রয়েছে এ জনগোষ্ঠীর। যাদের বেশিরভাগই ভূমিহীন ও হতদরিদ্র। তাদের একমাত্র আয়ের উৎস গৃহস্থালি কাজে ব্যবহৃত বাঁশের পণ্য তৈরি। এক সময় বাঁশের তৈরি কুলা, চালা, ডালা, ধামা ছাড়া গ্রামগঞ্জে গৃহস্থালি কাজ চলত না। ব্যাপক চাহিদার কারণে সারা বছর ব্যস্ত সময় পার করতেন মাহালীরা। তাদের জীবনযাপন ভালোই চলছিল। কিন্তু বিগত কয়েক বছর যাবৎ তাদের তৈরি পণ্যের জায়গা দখল করে নিয়েছে পরিবেশ বিঘ্নকারী বিভিন্ন প্লাস্টিক ও পলিমারের পণ্য। ফলে দিন দিন এ জনগোষ্ঠী হয়ে পড়ছে বেকার। কেউ কেউ নিরুপায় হয়ে পেশা পরিবর্তন করলেও বেশিরভাগ মাহালী অন্য কোনো কাজ না জানা থাকায় বাধ্য হয়েই বাপ দাদার পেশায় রয়ে গেছে। কিন্তু এ পেশায় চলছে না তাদের সংসার। লেখা পড়ার ব্যয় চালাতে পারছেন না তাদের সন্তানদের। এরপরেও বাপ দাদার পেশা ছাড়তে চান না মাহালীরা।

উপজেলার কুশদহ ইউনিয়নের খালিপপুর মাহালী পাড়ায় প্রায় ৪০টি পরিবারের বসবাস। তারা সকলেই বংশানুক্রমে বাঁশের তৈরি পণ্য বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন।

তারা বলেন, বাঁশের মূল্যবৃদ্ধি হওয়ায় বাঁশের তৈরি পণ্য বিক্রয় করে একজনের মজুরিও ভাগ্যে জোটে না। বাঁশের কাজের আয় থেকে সংসার পরিচালনা করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে তাদের।

বৃন্দাবন চন্দ্র দাস জানান, বাজারে চাহিদা আছে এমন শৌখিন বাঁশের পণ্য তৈরির প্রশিক্ষণ ও সুদমুক্ত ঋণ প্রদান করা হলে মাহালী জনগোষ্ঠী স্বাবলম্বী হতে পারবে এমন দারি তাদের। সন্তানদের লেখা পড়া শিখাতে পারবে। এগিয়ে যাবে মাহালী জনগোষ্ঠী।

রনি রানী বলেন, ছোট থেকে কাজ করে আসছি তাই তারা ছাড়তে চাই না, বাপ দাদার এ পেশা। বাপ দাদার এ পেশাকে ধরে রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছি। এ পেশাকে টিকিয়ে রাখতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি।

উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার শুভ্র প্রকাশ চক্রবর্তী জানান, যাদের পুঁজি নেই এমন মাহালীদের সুদ মুক্ত ঋণ এবং দলিত ভাতা প্রদানের কাজ শুরু করা হয়েছে। আরও বরাদ্দের জন্য চাহিদা পত্র ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে উপজেলার সকল দরিদ্র মাহালীদের এর আওতায় আনা হবে। মাহালীদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্যও চাহিদাপত্র প্রেরণ করা হয়েছে। অচিরেই তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আগামী বছরের শুরুতেই নির্বাচন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ড. ইউনূস

স্ত্রী-সন্তানসহ প্রবাসীর মৃত্যু, কেয়ারটেকারকে ঘিরে সন্দেহ

৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ

শাহজালাল বিমানবন্দরে অতিরিক্ত নিরাপত্তায় ৬ নির্দেশনা

খালসহ ১০টি জলমহাল উন্মুক্ত করলেন খুলনার জেলা প্রশাসক

৩০ আগস্ট ইতালির প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় আসছেন

জুলাই শহীদদের স্মৃতি স্মরণে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন

বছর ঘুরে ফিরল সেই জুলাই 

৩৬ জুলাই বিপ্লব ও নির্মম নির্যাতনের মধ্যেও বেঁচে ফেরার গল্প

৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ / এস আলম পরিবারের তিন সদস্যসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে দুই মামলা

১০

খুবির দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনকে কটাক্ষের অভিযোগ

১১

রাজশাহীতে ঐতিহাসিক ‘সান্তাল হুল’ দিবস উদযাপন

১২

২৯৫ জন অস্থায়ী কর্মীকে স্থায়ী করল চসিক

১৩

যে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করলেন ইউনূস-রুবিও

১৪

করোনার ‘ভুল রিপোর্ট দিয়ে প্রতারণা’, অতঃপর...

১৫

ইরানে একাধিক ইউরোপীয় নাগরিক গ্রেপ্তার

১৬

ঢাবি শিক্ষার্থী সৌমিকের মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা

১৭

ছাত্রদল কর্মীর নেতৃত্বে হাবিপ্রবিসাসের অফিসরুম ভাঙচুর

১৮

গাজাবাসীর জন্য বিশেষ ভিসা চালু করতে স্টারমারকে ব্রিটিশ এমপিদের চিঠি

১৯

পাবিপ্রবিতে শিক্ষাবৃত্তি ও গবেষণা প্রণোদনা প্রদান

২০
X