রিয়াদ হোসেন রুবেল, বালিয়াকান্দি (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৮ জুন ২০২৪, ০৮:৩৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

চরের বালি বিক্রি করেই চলে আড়াই শতাধিক পরিবারের চুলা

নদী থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে বালু। ছবি : সংগৃহীত
নদী থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে বালু। ছবি : সংগৃহীত

রাজবাড়ী সদরের পদ্মা নদীর সকল বালু মহাল ইজারা বন্ধ ও কালুখালী উপজেলার পাতুরিয়া বালু মহাল ইজারা না হওয়ায় এলাকার উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের এখন ভরসা মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার ঘসিয়াল বালুমহাল। এ বালুমহাল থেকে বালি ক্রয় করে এনে বিক্রি করে বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া এলাকার প্রায় আড়াই শতাধিক পরিবারের সংসার চলছে। জানা গেছে, মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার ঘসিয়াল গড়াই নদীর বালুমহালটি বাংলা ১৪৩১ সালের জন্য মাগুরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ইজারা পান আবুল কালাম আজাদ। এরপর থেকে বালি বিক্রি করছেন রাজবাড়ী, বালিয়াকান্দি, মাগুরা, ঝিনাইদহ, শ্রীপুরসহ বিভিন্ন এলাকায়। নারুয়া গ্রামের বালি ব্যবসায়ী বাদশা মোল্যা বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে গড়াই নদীর ঘসিয়াল বালু মহাল থেকে বর্ষা মৌসুমে নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে বালি ক্রয় করে এনে স্তূপ করে রাখি। সারা বছর ধরে ট্রাকে করে বিক্রি করি। আমার চাতালে প্রায় ৫০ জন লোক কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। এতে একদিকে মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হচ্ছে, অন্যদিকে কাছেই বালু পেয়ে উন্নয়নমূলক কাজের খরচ কমছে। আমরা নদী পাড়ের মানুষ হওয়ায় সব সময় নিজেদের কথা চিন্তা করি, যাতে কোনো ক্ষতি না হয়। সোনাকান্দর গ্রামের বালি ব্যবসায়ী ফিরোজ খান বলেন, আমি প্রায় দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে বালির ব্যবসা করে আসছি। প্রতি বছরই গড়াই নদীর ঘসিয়াল চর থেকে বৈধভাবে খাজনা দিয়ে ক্রয় করি। নিজস্ব জমিতে রেখে বিক্রি করি। আমার এখানে গাড়িচালকসহ অন্যান্য প্রায় শতাধিক লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। পাশাপাশি এলাকার উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে এ বালি ব্যবহার হচ্ছে। বালি ব্যবসায়ী সাহেব আলী, আব্দুল বাতেনসহ আরও কয়েকজন বলেন, এ অঞ্চলে কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠান না থাকায় বেশিরভাগ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। আমরা বালি ব্যবসা করি। এখানে প্রায় আড়াই শতাধিক মানুষ কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। আমরা সকলের সহযোগিতা কামনা করি। ​​​​​ শ্রীপুর উপজেলার গড়াই নদীর ঘসিয়াল বালু মহালের ইজারাদার আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমার এ বালুমহাল থেকে বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া, রাজবাড়ী, শ্রীপুর, মাগুরা, ঝিনাইদহসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ বৈধভাবে খাজনা দিয়ে বালু নিয়ে যান। এখানে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের কোনো সুযোগ নেই। যারা এখান থেকে কিনে বিক্রি করছেন, তারা হয়ত অল্প লাভে বিক্রি করছেন। এতে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি সরকার রাজস্ব পাচ্ছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

হাতিয়ায় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেপ্তার

বিএনপি নেতা বদরুজ্জামান মিন্টু চিরনিদ্রায় শায়িত

ঢাকা-১৩ আসনে ধানের শীষের সমর্থনে যুবদলের গণমিছিল

নতুন জোটের ঘোষণা দিল এনসিপি

কড়াইল বস্তিতে আগুন, তারেক রহমানের সমবেদনা

কড়াইল বস্তিতে আগুনের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার উদ্বেগ ও সমবেদনা 

গণভোট অধ্যাদেশ জারি করে গেজেট প্রকাশ

জেসিআই ঢাকা ইউনাইটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন মাসউদ

কড়াইল বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে

চীনা দূতাবাস কর্মকর্তার সঙ্গে চৌদ্দগ্রাম জামায়াত নেতাদের মতবিনিময়

১০

নুরুদ্দিন আহম্মেদ অপুর সঙ্গে সেলফি তুলতে মুখিয়ে যুবসমাজ

১১

অগ্রণী ব্যাংকের লকারে শেখ হাসিনার ৮৩২ ভরি স্বর্ণ

১২

শুভর বুকে ঐশী, প্রেম নাকি সিনেমার প্রচারণা?

১৩

৭০৮ সরকারি কলেজকে চার ক্যাটাগরিতে ভাগ

১৪

ইউএস বাংলার সাময়িকীর কনটেন্ট তৈরি করবে অ্যানেক্স কমিউনিকেশনস

১৫

সাদিয়া আয়মানের সমুদ্র বিলাশ

১৬

পৌরসভার পরিত্যক্ত ভবনে মিলল নারীর মরদেহ 

১৭

কড়াইলের আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসার কারণ জানাল ফায়ার সার্ভিস

১৮

প্রশাসনের ৭ কর্মকর্তার পদোন্নতি

১৯

যুক্তরাষ্ট্রে যোগাযোগ ও মিডিয়া কনফারেন্সে জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে আলোচনা

২০
X