কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:০৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

পিলখানা হত্যাকাণ্ড : ১৭৮ আসামির মুক্তিতে বাধা নেই

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার কার্যক্রম চলাকালীন মুহূর্ত। ছবি : সংগৃহীত
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার কার্যক্রম চলাকালীন মুহূর্ত। ছবি : সংগৃহীত

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিস্ফোরক আইনের মামলায় কারাগারে আটক ১৭৮ ‘বিডিআর জওয়ানের’ কারামুক্তিতে বাধা নেই। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী চিফ প্রসিকিউটর বোরহান উদ্দিন এ তথ্য জানান।

এর আগে গত রোববার হত্যা মামলায় নিম্ন আদালত ও উচ্চ আদালত থেকে খালাসপ্রাপ্তরা বিস্ফোরক আইনের মামলায় জামিন পেয়েছেন।

কেরাণীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়ার আদালত শুনানি শেষে তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

বিস্ফোরক আইনের মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণের পর্যায়ে রয়েছে। মামলাটিতে ২৮৪ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। হত্যা মামলায় খালাস বা সাজাভোগ শেষে বিস্ফোরক মামলার কারণে ৪৬৮ জনের মুক্তি আটকে আছে।

হত্যা মামলায় ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর। তাতে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। খালাস পান ২৭৮ জন।

২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর সেই মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায়ও হয়ে যায় হাইকোর্টে। তাতে ১৩৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয় ১৮৫ জনকে। আরো ২২৮ জনকে দেওয়া হয় বিভিন্ন মেয়াদে সাজা। খালাস পান ২৮৩ জন।

হাইকোর্টের রায়ের আগে ১৫ জনসহ সব মিলিয়ে ৫৪ জন আসামি মারা গেছেন। হত্যা মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে ২২৬ জন আসামি আপিল ও লিভ টু আপিল করেছেন।

অন্যদিকে হাইকোর্টে ৮৩ জন আসামির খালাস এবং সাজা কমানোর রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। এসব আপিল ও লিভ টু আপিল এখন শুনানির অপেক্ষায়।

২০১০ সালে বিস্ফোরক আইনের মামলায় ৮৩৪ জন আসামির বিরুদ্ধে বিচারকাজও শুরু হয়েছিল। কিন্তু মাঝপথে বিস্ফোরক মামলার কার্যক্রম একপ্রকার স্থগিত রেখে শুধু হত্যা মামলার সাক্ষ্য উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ। যে কারণে এই মামলার বিচার ঝুলে যায়।

৫ আগস্ট ক্ষমতার পালাবদলের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়। তখন বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার তদন্ত পুনরায় শুরুর দাবি ওঠে। গত ১৯ ডিসেম্বর অভিযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যান শহীদ পরিবারের সদস্যরা।

এই হত্যাকাণ্ড পুনঃতদন্তের জন্য গত ২৪ ডিসেম্বর আ ল ম ফজলুর রহমানকে প্রধান করে কমিশন গঠন করে ৯০ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছে সরকার।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতেই হবে : ফয়জুল করীম

শেষ ওভারের ঝড়ে আফগানদের বড় সংগ্রহ, শঙ্কায় বাংলাদেশ

বরিশালের ৬ আসনে প্রার্থী ঘোষণা খেলাফত মজলিসের

চাকসু নির্বাচনে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের প্যানেল ঘোষণা

‘আপু’ ডাকায় রোগীকে অভিভাবকসহ বের করে দিলেন চিকিৎসক

বাকৃবিতে গবেষণার জন্য আনা ১৪ ভেড়া চুরি

পাকিস্তানকে হ্যান্ডশেকের জায়গায় খেলায় মন দিতে বললেন কপিল দেব

ইসলামী দলগুলোর কর্মসূচি গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয় : মির্জা ফখরুল

তবে কি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে মণিহার সিনেমা হল?

সব নীতি ভঙ্গ করে আরেক অঞ্চলে হামলা করল ইসরায়েল

১০

যবিপ্রবিতে অধ্যাপক পদে ‘পছন্দের প্রার্থীকে’ নিয়োগ দিতে নতুন নীতিমালা!  

১১

এবার সারওয়ার আলমসহ সরকারি ৫ কর্মকর্তাকে শোকজ

১২

ব্রিটেনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বাধা হয়ে দাঁড়ালেন ট্রাম্প

১৩

সন্তানের ভরণপোষণ না দেওয়ায় জেলে ব্রাজিল ফুটবলার

১৪

রাজনীতি শুরুতেই মামলায় জড়ালেন থালাপতি বিজয়

১৫

ওয়াশিংটনে মার্কিন সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত

১৬

ঢাকা বারের আয়োজনে জন্মাষ্টমী উৎসব উদযাপন

১৭

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বিমানবাহিনীর যৌথ মহড়া অনুষ্ঠিত

১৮

নতুন সংবিধানের জন্য গণপরিষদের নির্বাচনের দাবিতে এনসিপি নেতা শিশিরের বিক্ষোভ

১৯

সোশ্যাল মিডিয়াতে সরকারের বিষোদ্গার, ডা. নেয়ামতের বিরুদ্ধে মামলা

২০
X