সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এবার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটির উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমানকে এ অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
রোববার (১৮ মে) দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
দুদক জানা গেছে, অনুসন্ধানকারী দল সম্পদ বিবরণীর নোটিশ জারিসহ শেখ হাসিনার স্থাবর-অস্থাবর সব সম্পদের হিসাব খতিয়ে দেখবে। একইসঙ্গে শেখ হাসিনার আয়কর নথির সঙ্গে বাস্তবে তার সম্পদের হিসাব মেলাবে।
এর আগে বিদেশে অর্থ পাচার, প্লট জালিয়াতি, প্রকল্পের অর্থ লুটপাটের একাধিক অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। এরইমধ্যে পূর্বাচলে প্লট জালিয়াতির মামলায় চার্জশিট দাখিল করলে আদালত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
এছাড়া বিমানবন্দরে উন্নয়ন প্রকল্পের নামে লুটপাটের অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা করতে যাচ্ছে সংস্থাটি।
প্রসঙ্গত, গত ১ জুলাই থেকে দেশে শুরু হয় শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন। এই আন্দোলন ১৫ জুলাই থেকে সহিংসতায় রূপ নেয়। ১৬ জুলাই সংঘর্ষে নিহত হয় ছয়জন। ৫ আগস্ট পর্যন্ত এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ৪৩৯ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। এর বাইরে গত ৬ আগস্ট পর্যন্ত আরও ১০৩ জনসহ দেশে মোট ৫৪২ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। ৭ আগস্টও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে যাওয়া আরও ২৬ জনের মরদেহ। যা নিয়ে আগস্টের ৭ তারিখ পর্যন্ত আন্দোলনে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৫৬৮।
এর আগে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। পরে তা পরিধি বাড়িয়ে ২১ জন করা হয়।
এরপর দেশের বিভিন্ন স্থানে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী এবং এমপিদের বিরুদ্ধে ডজন ডজন মামলা হয়। এখন পর্যন্ত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে শতাধিক হত্যা মামলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন