কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৯ জুন ২০২৫, ০৪:৩১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

রিমান্ড শেষে সাবেক সিইসি হাবিবুল কারাগারে 

আদালতে সাবেক সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। ছবি : কালবেলা
আদালতে সাবেক সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। ছবি : কালবেলা

কারচুপির নির্বাচন ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে শেরেবাংলা নগর থানার মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২৯ জুন) ৩ দিনের রিমান্ড শেষে বিকেল ৩টা ১ মিনিটে হাজতখানা থেকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিএম ফারহান ইশতিয়াকের আদালতে তোলা হয়। এসময় আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক শামসুজ্জোহা সরকার। আসামিপক্ষ থেকে জামিন চাওয়া হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে বিচারক আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে গত ২৫ জুন রাজধানীর মগবাজার থেকে হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেপ্তার করে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। পরদিন তাকে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এছাড়া একই মামলায় সাবেক সিইসি কেএম নুরুল হুদা দ্বিতীয় দফায় ৪ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন।

গত ২২ জুন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব ‘পালন না করে’ উল্টো ‘ভয়-ভীতি দেখিয়ে’ জনগণের ভোট ছাড়াই নির্বাচন সম্পন্ন করার অভিযোগে মামলা করে বিএনপি।

পরে গত ২৫ জুন এ মামলায় নতুন করে রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের ধারা যুক্ত করা হয়। মামলায় ২০১৪ সালের নির্বাচনের তৎকালীন সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, ২০১৮ সালের নির্বাচনে তৎকালীন সিইসি এ কে এম নুরুল হুদা ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের তৎকালীন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার, এ কে এম শহীদুল হক, জাবেদ পাটোয়ারী, বেনজির আহমেদ ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকেও আসামি করা হয়েছে এই মামলায়।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ওই তিন নির্বাচনে ‘গায়েবী মামলা, অপহরণ, গুম খুন ও নির্যাতনের’ ভয় দেখিয়ে, বিএনপি নেতাকর্মীদের ‘গণগ্রেপ্তার’ করে নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখা হয়। সংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে থাকা সত্ত্বেও সংবিধান লঙ্ঘন, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন, সরকারি কর্মচারী হয়েও অবৈধভাবে ভোটে হস্তক্ষেপ, ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোটের কাজ সম্পূর্ণ করা ও জনগণের ভোট না পেলেও সংসদ সদস্য হিসেবে মিথ্যাভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

এ ঘটনার সাক্ষী সব ভোটকেন্দ্র এলাকার ভোটাররা এবং ভোটারদের মধ্যে যারা ভোট প্রদান করতে বঞ্চিত হয়েছেন তারাসহ ভোটকেন্দ্রে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক সদস্যরা। এছাড়া ভোটকেন্দ্রে অনেক সৎ প্রিসাইডিং অফিসার, পুলিশ অফিসারসহ স্থানীয় লোকজনসহ আরও অন্যরা ঘটনার সাক্ষী হবে। এছাড়া ব্যালট পেপারে যে সিল ও স্বাক্ষর রয়েছে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলেই প্রকৃতভাবে তারা ভোট দিয়েছে কিনা সে বিষয়ে উল্লিখিত ঘটনার সঠিক রহস্য তদন্তে সত্য উদঘাটিত হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঢাকায় শীতের আমেজ

ইউক্রেনকে সমুদ্র থেকে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি পুতিনের

আজ পীরগঞ্জ হানাদারমুক্ত দিবস

আজ রাজধানীর কোথায় কী?

সেলস অফিসার পদে নিয়োগ দিচ্ছে অ্যাপেক্স

বুধবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

সিপিডির ফাইন্যান্স বিভাগে চাকরির সুযোগ

সীমান্তে স্বর্ণের বারসহ বাংলাদেশি যুবক আটক

নিজ আসনের প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াত প্রার্থীর বাড়িতে সালাহউদ্দিন আহমদ

বিকল্প রাজনৈতিক বলয় গঠনের আহ্বান আপ বাংলাদেশের

১০

বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল

১১

কেমন আছেন ইমরান খান, সাক্ষাতের পর জানালেন বোন উজমা

১২

মোদিকে ধন্যবাদ জানাল বিএনপি

১৩

৮ কুকুরছানা হত্যায় মামলা প্রস্তুতি, বাসভবন ছাড়লেন অভিযুক্ত কর্মকর্তা

১৪

নারায়ণগঞ্জ-৫ / মাসুদুজ্জামানের ক্যানভাসে জনতার প্রত্যাশা

১৫

শিক্ষকদের কর্মবিরতি স্থগিত, বার্ষিক পরীক্ষা চলবে বুধবার

১৬

নরসিংদীতে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা

১৭

টিউলিপের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না পাওয়ার দাবি ‘সম্পূর্ণ অসত্য’: দুদক

১৮

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ১০৬ মামলায় চার্জশিট দিল পুলিশ

১৯

খালেদা জিয়াকে দেখে এসে যা বললেন জামায়াত আমির

২০
X