শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২
কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২৫, ০৩:০১ পিএম
আপডেট : ০৩ জুলাই ২০২৫, ০৪:২৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ইতালির নাগরিক তাবেলা হত্যা : ৩ জনের যাবজ্জীবন, ৪ জন খালাস

ইতালির নাগরিক তাবেলা সিজার। ছবি : সংগৃহীত
ইতালির নাগরিক তাবেলা সিজার। ছবি : সংগৃহীত

রাজধানীর গুলশানে প্রায় ১০ বছর আগে ইতালির নাগরিক এবং নেদারল্যান্ডস ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইসিসিও-বিডির কর্মকর্তা তাবেলা সিজার হত্যা মামলায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মামলায় অভিযুক্ত বাকি চারজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুরে ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- তামজিদ আহমেদ ওরফে রুবেল, রাসেল চৌধুরী, মিনহাজুল আরেফিন ওরফে ভাগনে রাসেল।

খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- বিএনপি নেতা এম এ কাইয়ুম, তার ভাই আবদুল মতিন, শাখাওয়াত হোসেন ও সোহেল।

তাবেলা সিজার হত্যা মামলায় আসামিদের মধ্যে তামজিদ আহমেদ, রাসেল চৌধুরী, মিনহাজুল, মতিন ও শাখাওয়াত আদালতে বিভিন্ন সময়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেন। মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি কাইয়ুম ও সোহেল বিচার চলাকালে পলাতক ছিলেন। মতিন জামিনে ছিলেন, আর বাকি চার আসামি ছিলেন কারাগারে। রায় ঘোষণার দিন বৃহস্পতিবার তাদের সবাইকে আদালতে হাজির করা হয়।

তাবেলা সিজার হত্যা মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশান ৯০ নম্বর সড়কের পশ্চিম প্রান্তে, গুলশান অ্যাভিনিউ সংলগ্ন গভর্নর হাউজের দক্ষিণ পাশের ফুটপাতে দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে হত্যা করে। তিনি ছিলেন ইতালির নাগরিক এবং নেদারল্যান্ডভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইসিসিও-বিডির কর্মকর্তা।

স্থানীয়রা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি ওয়েবসাইটে দাবি করা হয়, ইসলামিক স্টেট (আইএস) এই হত্যার দায় স্বীকার করেছে। ঘটনার পর নেদারল্যান্ডসভিত্তিক আইসিসিও কো-অপারেশনের বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি হেলেন দার বিক গুলশান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা তিনজনকে আসামি করা হয়।

এরপর তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ২৮ জুন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (ডিবি) পরিদর্শক গোলাম রাব্বানী বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার এম এ কাইয়ুমসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। পরে একই বছরের ২৪ আগস্ট অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন তৎকালীন মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা।

চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়, এই হামলার মূল উদ্দেশ্য ছিল একজন শ্বেতাঙ্গ নাগরিককে হত্যা করে দেশ-বিদেশে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়া এবং বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ব্যাটারি চুরির অভিযোগে যুবদল কর্মী গ্রেপ্তার

বিড়াল ধরতে গিয়ে ১০ তলা থেকে পড়ে স্কুলশিক্ষার্থীর মৃত্যু

বিসিএস ক্যাডারে স্থান পেলেন রাবির প্রায় ৬০ শিক্ষার্থী

আদালতে দুর্জয়কে ডিম নিক্ষেপ

ইসরায়েলের আবারও ড্রোন হামলা

মুরাদনগরে ধর্ষণকাণ্ড, ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার মূল হোতা গ্রেপ্তার 

শাকিব খানের নতুন সিনেমার নায়িকা কে

আদালত ফ্যাসিস্টমুক্ত হলেই স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা কার্যকর হবে : সালাহউদ্দিন আহমদ

ইরানের মতো আরেক দেশে হামলার হুমকি ইসরায়েলের

ভারতীয় পুশইন বন্ধ করতে হবে : জাগপা 

১০

শহীদ পরিবার ও ছাত্রদল নেতার পাশে দাঁড়ালেন তারেক রহমান

১১

টানা ৩ দিনের ছুটি পাবেন না যারা

১২

ব্যাটিং বিপর্যয়ে বিসিবি সভাপতির হতাশা, দায় দেখছেন মানসিকতায়

১৩

টানা ৩ দিনের ছুটিতে চাকরিজীবীরা

১৪

খলিলুর রহমান বিকডার নতুন সভাপতি 

১৫

ইসরায়েলে পাল্টা হামলায় গর্বিত ৭৭ শতাংশ ইরানি

১৬

জোতার মৃত্যুতে ফুটবল বিশ্বে শোকের জোয়ার

১৭

চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি টার্মিনাল পরিচালনা করবে চিটাগাং ড্রাই ডক

১৮

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি নিয়ে ঢাবিতে সেমিনার

১৯

কারো স্বার্থে গণঅভ্যুত্থানের অর্জন নষ্ট করা যাবে না : গণতন্ত্র মঞ্চ

২০
X