কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০২৫, ০১:৩৬ পিএম
আপডেট : ১৮ আগস্ট ২০২৫, ০৪:২৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

পদ্মা সেতু নির্মাণে মোবাইলে সারচার্জ বন্ধে রুল জারি

পদ্মা সেতু সারচার্জ
সিসিএসের লোগো ও হাইকোর্ট। পুরোনো ছবি

পদ্মা সেতু নির্মাণের উদ্দেশ্যে মোবাইল ফোনে ব্যবহৃত ব্যয়ের ওপর আরোপিত ১ শতাংশ সারচার্জ আদায় কেন বন্ধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

ভোক্তা অধিকার সংস্থা ‘কনশাস কনজ্যুমার্স সোসাইটি’র (সিসিএস) এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার (১৮ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মো. হামিদুর রহমানের বেঞ্চ (এনেক্স-২৪) এ রুল জারি করেন।

এদিন রিট আবেদনকারীদের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী এ কে এম আজাদ হোসেন।

এর আগে গত ১০ জুলাই সিসিএসের পক্ষ থেকে রিট আবেদন করেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদ।

উলেখ্য, গত ৪ জুন আইনি পদক্ষেপের প্রথম ধাপ হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সচিব, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান, গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি এবং টেলিটক কর্তৃপক্ষকে এ নোটিশ পাঠায় সিসিএস। প্রতিষ্ঠানগুলোকে সাত দিনের মধ্যে সারচার্জ বন্ধ করার দাবি জানানো হয়।

নোটিশে বলা হয়, পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের থেকে মোবাইলে খরচের ওপর ১ শতাংশ সারচার্জ চালু রয়েছে। ২০১৬ সালে ওই সারচার্জ আরোপ করা হয়, যা বর্তমানে অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে এই সারচার্জের মাধ্যমে ভোক্তাদের থেকে ২ হাজার (২০০০) কোটি টাকার বেশি আদায় করা হয়েছে; কিন্তু ২০২২ সালে পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা হলেও মোবাইল ফোনে সারচার্জ কর্তন বন্ধ করা হয়নি।

নোটিশে আরও বলা হয়, পদ্মা সেতু নির্মাণে ভোক্তাদের থেকে সারচার্জ কর্তনের জন্য ২০১৫ সালে ‘উন্নয়ন সারচার্জ ও লেভি (আরোপ ও আদায়) আইন’ করে সরকার। ওই আইনের অধীনে ২০১৬ সালের ১০ মার্চ অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে সারচার্জ আদায় শুরু করে সরকার। তবে আইনের ৪নং ধারায় বলা হয়েছে, সরকার, সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা, তৎকর্তৃক আরোপিত শর্তে ও নির্ধারিত মেয়াদে উন্নয়ন সারচার্জ আদায় করতে পারবে। কিন্তু প্রজ্ঞাপনে কোনো মেয়াদ নির্দিষ্ট না করেই সারচার্জ আদায় শুরু হয়। ফলে সারচার্জ আদায় ৯ বছর চললেও তা বন্ধে কোনো পদক্ষেপ নেই, যা আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ায় এবং মেয়াদ নির্দিষ্ট না করে বেআইনিভাবে সারচার্জ আদায়ের মাধ্যমে ভোক্তার স্বার্থ ক্ষুণ্ন হচ্ছে। ফলে ভোক্তা অধিকার সংস্থা হিসেবে সিসিএস এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে বলেও নোটিশে জানানো হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নিম্নচাপে উত্তাল বঙ্গোপসাগর, ঘাটে ফিরছে শূন্য ট্রলার

সংসার ভাঙায় স্বামীকে কোটি ডলার দেবেন নিকোল!

দর্শনায় থামবে সুন্দরবন এক্সপ্রেস, উচ্ছ্বসিত এলাকাবাসী

ঢাকা মহানগর চকবাজার থানা খতমে নবুওয়ত কমিটি গঠন

নিহত রাহুলের পরিবারের পাশে তারেক রহমান

জামায়াতের পোলিং এজেন্ট প্রশিক্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

বিজয়া দশমীতে রাজশাহীর পদ্মায় দুর্গা বিসর্জন

ইইউ ইলেকশন এক্সপ্লোরেটরি মিশনের সঙ্গে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বৈঠক

বিক্ষোভে উত্তাল কাশ্মীর, পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ

প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে বরিশালে শেষ হলো দুর্গোৎসব

১০

লন্ডনে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বৈঠকে উগান্ডার প্রধানমন্ত্রী

১১

তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী বানাতে জনগণ মুখিয়ে : ফখরুল ইসলাম

১২

খাগড়াছড়ি সহিংসতায় প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি এইচআরএফবি’র

১৩

টসে হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ, দেখে নিন একাদশ

১৪

শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল তুরস্ক

১৫

প্রতিমা বিসর্জনের সময় নৌকাডুবি, ২ শিশু নিখোঁজ

১৬

১ হাজার টাকার জন্য বৃদ্ধের ঘরের চাল খুলে নিল পাওনাদার

১৭

সবাইকে নিয়েই আগামীর দেশ গঠন করা হবে : কফিল উদ্দিন

১৮

ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে টেস্টের প্রথম দিনেই ভারতের দাপট

১৯

‘সিলেটে ৩ মাসের মধ্যে ক্যানসার হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু হবে’

২০
X