সরকারি কাজে বাধা ও বেআইনি সমাবেশের অভিযোগে পল্টন থানার মামলায় দণ্ডিত জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
রোববার (২৪ আগস্ট) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। এতে করে তার কারামুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী নিহার হোসেন ফারুক।
এরআগে গত ১৮ আগস্ট ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামান আদালতে শহিদুল ইসলাম বাবুল মামলাটিতে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর তার আইনজীবী নিহার হোসেন ফারুক আপিলের শর্তে জামিন চান।
লিখিত আবেদনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ঢাকা বার ইউনিটের সদস্য সচিব নিহার হোসেন ফারুক আদালতে বলেন, মামলাটির দরখাস্তকারী একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তিনি আদালত এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আপিলের শর্তে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পন পূর্বক জামিনের আবেদন করেছেন। তিনি জামিন পাওয়ার হকদার। জামিন পেলে তিনি পলাতক হবেন না এবং উপযুক্ত স্থানীয় জামিনদার দেওয়া হবে। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
২০২৩ সালের ২৩ নভেম্বর শহিদুল ইসলাম বাবুলকে এক ধারায় আড়াই বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আরেক ধারায় এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে সাত দিনের কারাদণ্ড দেন আদালত।
মামলার বিবরণী থেকে, ২০১৭ সালের ৩১ অক্টোবর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কক্সবাজার সফর শেষে গুলশান যাবেন। এসময় দলের নেতাকর্মীরা পল্টন এলাকায় সরকারবিরোধী স্লোগান দেয়। ভিআইপি রোড বন্ধ করে ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়।এ ঘটনায় পল্টন মডেল থানার এসআই মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল ওইদিনই মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ১৯ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা একই থানার এসআই আতাউর রহমান। মামলার সকল কার্যক্রম শেষে ২০২৩ সালের ২৩ নভেম্বর রায় দেন আদালত।
মন্তব্য করুন