কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:৫৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

হাসিনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে ট্রাইব্যুনালে নাহিদ

ট্রাইব্যুনালে নাহিদ ইসলাম। ছবি : সংগৃহীত
ট্রাইব্যুনালে নাহিদ ইসলাম। ছবি : সংগৃহীত

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিতে হাজির হয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার ঘটনায় আজ তার সাক্ষ্য দেওয়ার কথা রয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তিনি ট্রাইব্যুনালে হাজির হন। তবে আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের জেরা শেষ না হলে আজ নাহিদের সাক্ষ্যগ্রহণ হবে না।

এদিকে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আজও ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেবেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার ঘটনায় আজ তার অবশিষ্ট সাক্ষ্যগ্রহণ হবে।

এর আগে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ সাক্ষ্য দেন তিনি। তবে সাক্ষ্য শেষ না হওয়ায় এবং জেরার জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়। এরপর মামলায় সাক্ষ্য দেবেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মামলার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের বিষয়ে সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ‘নায়ক’ নাহিদ ইসলামের। তবে ব্যক্তিগত কারণে তারা আগের নির্ধারিত তারিখে উপস্থিত হতে না পারায় আদালতের কাছে সময় চাওয়া হয়, যা ট্রাইব্যুনাল মঞ্জুর করেছেন।

গত ৯ সেপ্টেম্বর মামলার ১৪তম দিনে ৬ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ পর্যন্ত মোট ৪৫ জন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে। তাদের বর্ণনায় উঠে এসেছে গত বছরের জুলাই-আগস্ট মাসে দেশজুড়ে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞের বীভৎস চিত্র। এসব হত্যাকাণ্ডের জন্য তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন শহীদ পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীরা। এ মামলায় রাজসাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিয়েছেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।

উল্লেখ্য, গত ১০ জুলাই ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের ৫টি অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার অভিযোগপত্রটি মোট ৮ হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার, যার মধ্যে তথ্যসূত্র রয়েছে ২ হাজার ১৮ পৃষ্ঠায়, জব্দ তালিকা ও অন্যান্য প্রমাণাদি ৪ হাজার ৫৫ পৃষ্ঠার, এবং শহীদদের তালিকার বিবরণ রয়েছে ২ হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠায়। মামলায় মোট ৮১ জন সাক্ষী রয়েছেন। গত ১২ মে মামলার পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন চিফ প্রসিকিউটরের কাছে জমা দেয় তদন্ত সংস্থা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দৈনিক ইনকিলাবে প্রকাশিত প্রতিবেদনের নিন্দা ও প্রতিবাদ জামায়াতের

নদীর পানি বাড়ছে, বন্যা নিয়ে নতুন সতর্কবার্তা

নুরাল পাগলার দরবারে হামলার ঘটনায় ৮ জনের স্বীকারোক্তি

ভুয়া প্রমাণিত হলে জুলাই শহীদ ও যোদ্ধাদের নাম তালিকা থেকে বাদ

দাহ করার আগ মুহূর্তে জেগে উঠলেন নারী

২১ নাকি ২২ ক্যারেট সোনা ভালো? আসল-নকল চিনবেন যেভাবে

চবি শিক্ষার্থী খুন, বাবা ও সৎ মা গ্রেপ্তার

চাকসুর প্রীতিলতা হলে ছাত্রী সংস্থার প্যানেল ঘোষণা

নওগাঁয় কষ্টি পাথরের মূর্তিসহ দুজন গ্রেপ্তার

ওজোনস্তর রক্ষায় রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অপরিহার্য : সৈয়দা রিজওয়ানা

১০

তৃণমূলের শিক্ষার উন্নয়নে শিক্ষার্থীদের পাশে মজিদ মল্লিক ফাউন্ডেশন

১১

দুর্গাপূজাকে ঘিরে কুমিল্লায় নেওয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা : পুলিশ সুপার

১২

মারা গেছেন চিত্রনায়িকা বনশ্রী

১৩

বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচ মোবাইলে দেখবেন যেভাবে

১৪

হোন্ডার দায়িত্ব ছেড়ে দায়িত্ব নিলেন স্ত্রীর সহকারী হিসেবে

১৫

সন্তানের পাপের কারণে কি মা-বাবারও শাস্তি হবে?

১৬

জুলাই সনদের আলোকে জাতীয় নির্বাচনের দাবি জাগপার

১৭

এবার এরদোয়ানের পতন ঘটাতে তুরস্কে বিক্ষোভ

১৮

প্রাথমিকে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ না দিলে রাজপথে নামার হুঁশিয়ারি

১৯

রাজহাঁসের দখলে শহর, তাড়াতে খরচ কোটি কোটি টাকা

২০
X