যৌতুক নিরোধ আইনে সাবেক স্বামী পুলিশের উপপরিদর্শক ওবায়দুল কবির সুমনের মামলায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) উপপরিদর্শক (এসআই) সুমাইয়া বেগম লাকি বেকসুর খালাস পেয়েছেন।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলামের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ সাইদুর রহমান বলেন, রায়ে একমাত্র আসামি লাকিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর পুলিশের উপপরিদর্শক ওবায়দুল কবির সুমন বাদী হয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা করেন৷ এতে পুলিশের উপ-পরিদর্শক সুমাইয়া বেগম লাখি, তার মা বেগম আম্বিয়া সুলতানা, দুলাভাই মামুনুর রহমান মামুন, মেজো বোন সুইটি ও ছোট বোন জান্নাতুল নাইম বেবিকে আসামি করা হয়। পরে আদালত সুইটি ও বেবিকে বাদ দিয়ে মামলাটি গ্রহণ করেন। ২০২২ সালের ১১ মে এ মামলায় আসামি লাকির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন আদালত৷ একইসঙ্গে আসামি মামুন ও আম্বিয়াকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। বিচার চলাকালে একমাত্র বাদী সুমনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের ৯ এপ্রিল পাঁচ লাখ টাকা কাবিননামায় ওবায়দুল কবির সুমনের সঙ্গে সুমাইয়া বেগম লাকির বিয়ে হয়। এক পর্যায়ে ২০২০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর লাকি তার স্বামী সুমনকে ফোন দিয়ে ২০ লাখ টাকা ব্যাংকে ডিপোজিট করতে বলেন৷ তবে এই টাকা না দিলে লাকি তার সঙ্গে সংসার করবে না বলে জানান। এ বিষয়টি সমাধানে অপর চার আসামিকে জানালেও তারা টালবাহানা করতে থাকেন। পরবর্তীতে তার শাশুড়ি আম্বিয়া ঘর তোলার জন্য পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন।
মন্তব্য করুন