মানহানির অভিযোগে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলমের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন পিছিয়ে আগামী ৬ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেকে ইমামের আদালত এ দিন ধার্য করেন।
এদিন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে মামলার তদন্ত সংস্থা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এ জন্য আদালত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ৭ আগস্ট ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের আদালতে হিরো আলম এ মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৫ আগস্ট বাদী হিরো আলম নিজের মোবাইলে ইউটিউব দেখছিলেন। তখন দেখেন যে, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জনতার সামনে বক্তব্য দিচ্ছেন। তার বক্তব্যে বলেন, ‘হিরো আলমের মতো একটা অর্ধপাগল, অর্ধশিক্ষিত একটা লোক। সে নির্বাচন করছে, মানে রুচি কতটা বিকৃত হলে পড়ে এ কাজ করতে পারেন।’ যা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয় এবং লিখিতভাবে লিফলেট আকারে প্রচার ও প্রকাশ করে।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের চুলচেরা বিশ্লেষণে হিরো আলম একজন সুস্থ, নির্বাচন করার জন্য উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে তিনবার প্রমাণিত ও যোগ্য হয়েছেন। তাছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেল চ্যানেলে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান প্রচার করেন। তার অসংখ্য ভক্ত রয়েছে।
রিজভীর বক্তব্যের কারণে বাদী ও তার ভক্তদের মাঝে হতাশাসহ ক্ষোভ বিরাজ করছে। তার মানহানিকর, সুনামক্ষুন্ন হয় এমন কটূক্তি, মিথ্যা, অসত্য বক্তব্য, মানহানিকর তথ্য প্রকাশ ও প্রচার সম্পূর্ণ নিন্দনীয়। তার বক্তব্যে বাদী সামাজিকভাবে চরম হেয়প্রতিপন্ন হয়েছে।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, বিএনপির বিভিন্ন প্রোগ্রামে নেতাকর্মীরা বিভিন্ন সময়ে বাদীকে নিয়ে কটূক্তি ও আক্রমণাত্মক মানহানিকর বক্তব্যে প্রচারের মাধ্যমে অপমান, অপদস্ত করেছেন। তাছাড়া আসামির এই অপমানকর, আপত্তিকর বক্তব্যের কারণে বাদী বিএনপির নেতাকর্মী তথা রাজনৈতিক সন্ত্রাসীদের হামলা বা হয়রানির আশঙ্কা করেন।
আসামির উক্তির কারণে বাদীর মানহানি হয়েছে। যা টাকার হিসাবে মানহানির ক্ষতির পরিমাণ ৫০ কোটি টাকা।
মন্তব্য করুন