তালাক না দিয়ে অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগের মামলায় ক্রিকেটার নাসির হোসাইন ও তামিমা সুলতানা তাম্মির বিরুদ্ধে ঝালকাঠির ১ নম্বর ভৈরবপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহম্মেদ আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে তিনি সাক্ষ্য দেন। এরপর তাকে জেরা করা হয়।
এ সময় আদালতে হাজিরা দেন ক্রিকেটার নাসির ও তামিমা। তাদের উপস্থিতিতে সাক্ষীদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন আদালত।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও রাকিবের বিয়ে হয়। তাদের আট বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। ২০২১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও নাসিরের বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা রাকিবের নজরে আসে। পরে পত্র-পত্রিকায় তিনি ঘটনার বিষয়ে সম্পূর্ণ জানেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, রাকিবের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক চলমান অবস্থাতেই নাসিরকে বিয়ে করেছেন তামিমা; যা ধর্মীয় এবং রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী অবৈধ। তামিমাকে প্রলুব্ধ করে নিজের কাছে নিয়ে গেছেন নাসির।
তামিমা সুলতানা দাবি করেন, ২০১৬ সালের ২৩ ডিসেম্বর রাকিব হাসানকে ইউনিয়ন পরিষদে তালাকের নোটিশ পাঠান। তবে সে সংক্রান্ত কোনো নোটিশ পাওয়া যায়নি মর্মে আদালতকে জানিয়েছেন চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন।
এদিন নাসির ও তামিমা আদালতে হাজিরা দেন। এ নিয়ে মামলাটিতে ৫ জনের সাক্ষ্য শেষ হলো।
গত বছর ৯ ফেব্রুয়ারি ক্রিকেটার নাসির হোসাইন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মির বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন একই আদালত। তবে নাসিরের শাশুড়ি সুমি আক্তারকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এর আগে, ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাম্মির স্বামী রাকিব হাসান বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন।
মন্তব্য করুন