কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ জুন ২০২৩, ০৫:৫৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
অর্থ আত্মসাৎ মামলা

জামিন পেলেন গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালক পারভীন

জামিন পেলেন গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালক পারভীন

জালিয়াতির মাধ্যমে গ্রামীণ টেলিকম থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক পারভীন মাহমুদকে জামিন দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান তাকে জামিন দেন।

এদিন আসামি পারভীন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে দুদক জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাকে জামিন দেন।

এর আগে ৩০ মে দুদকের উপপরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন—গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস, প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম, এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান এবং সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান ও প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও মো. নাজমুল ইসলামসহ গ্রামীণ টেলিকমের বোর্ডের সদস্যদের উপস্থিতিতে ২০২২ সালের ৯ মে গ্রামীণ টেলিকমের ১০৮তম বোর্ডের সভায় ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডের গুলশান শাখায় একটা ব্যাংক হিসাব খোলার সিদ্ধান্ত হয়। তবে হিসাব খোলার এ সিদ্ধান্তের এক দিন আগেই ব্যাংক হিসাব খোলা হয়। এ ছাড়া ৮ মে খোলা ব্যাংক হিসাব দেখানো আছে সেটেলমেন্ট এগ্রিমেন্টে, যা বাস্তবে অসম্ভব। এ রকম ভুয়া সেটেলমেন্ট এগ্রিমেন্টের শর্ত অনুযায়ী ও বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক গ্রামীণ টেলিকমের বিভিন্ন সময়ে ব্যাংকটিতে ২৬ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা স্থানান্তর করে। কিন্তু কর্মচারীদের লভ্যাংশ বিতরণের আগেই প্রাপ্য অর্থ তাদের না জানিয়ে আসামিরা আত্মসাৎ করেন।

গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীদের পাওনা লভ্যাংশ বিতরণের জন্য গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন এবং গ্রামীণ টেলিকমের সঙ্গে সেটেলমেন্ট এগ্রিমেন্ট চুক্তি হয় ২০২২ সালের ২৭ এপ্রিল।

এজাহারে আরও বলা হয়, রেকর্ডপত্র বিশ্লেষণে দেখা যায়, অ্যাডভোকেট ফি হিসাবে প্রকৃতপক্ষে হস্তান্তরিত হয়েছে মাত্র এক কোটি টাকা। বাকি ২৫ কোটি ২২ লাখ ছয় হাজার ৭৮০ টাকা গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বোর্ড সদস্যদের সহায়তায় গ্রামীণ টেলিকমের সিবিএ নেতা এবং অ্যাডভোকেটসহ সংশ্লিষ্টরা জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে রাজনৈতিক শূন্যতা কাটবে : প্রেস সচিব

আ.লীগের ২ নেতার পদত্যাগ

পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা করে আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩

নতুন সংকটে নোয়াখালী, কোচের দায়িত্ব ছাড়ার ইঙ্গিত খালেদ মাহমুদের

ঢাকার তাপমাত্রা নিয়ে নতুন বার্তা

কিয়ারার স্পষ্ট বার্তা

বড়দিনে শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন রাষ্ট্রপতি

কেয়ামতের আগে ফোরাত নদীতে যে আলামত প্রকাশ পাবে

জানা গেল হাদির খুনিকে পালানোর ব্যবস্থা করেন কারা

সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালেন তারেক রহমান

১০

তারেক রহমানকে স্বাগত জানিয়ে আজহারির স্ট্যাটাস 

১১

শীতে হাসপাতালে বাড়ছে ডায়রিয়া রোগী, ৮৭ শতাংশই শিশু

১২

তারেক রহমানকে স্বাগত জানিয়ে জামায়াত আমিরের স্ট্যাটাস 

১৩

হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে প্যারিসে বিদ্রোহ

১৪

হাড় ভাঙা শীতে কাঁপছে কুড়িগ্রাম, তাপমাত্রা নামল ১১ ডিগ্রিতে

১৫

তারেক রহমানের মহাপ্রত্যাবর্তন : আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে যেভাবে এলো

১৬

সুন্দরবন থেকে লোকালয়ে আসা হরিণ উদ্ধার

১৭

দিপু হত্যায় মামলায় গ্রেপ্তার আরও ৬

১৮

জামায়াতের সঙ্গে এনসিপির জোট বাঁধা নিয়ে যা বললেন আব্দুল কাদের

১৯

গুলশানের বাসায় পৌঁছেছেন জুবাইদা ও জাইমা রহমান

২০
X