বংশাল থানা এলাকায় একটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় করা মামলার তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলো- মো. দ্বীন ইসলাম ওরফে অন্তর (১৯), আমির হামজা (১৯) এবং মো. আকাশ রহমান তানভীর (২২)।
ডিএমপির মুখপাত্র উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রোববার (১৮ মে) ভোরে দক্ষিণ মান্ডা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, ১৬ মে সকাল সাড়ে ৭টার সময় মানিকগঞ্জ থেকে শুভযাত্রা পরিবহনের একটি বাস রওনা করে ওই দিন সকাল ১০টায় ফুলবাড়ীয়া বাস টার্মিনালে এসে পৌঁছায়। রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টায় বাসটি বংশাল থানাধীন কাজী আলাউদ্দিন রোডস্থ ফায়ার সার্ভিস হেডকোয়ার্টার্সের মেইন গেটের সামনে রাস্তার ওপর পার্কিং করে হেলপার মো. খাইরুল ইসলাম বাসের ভিতর ঘুমিয়ে পড়ে। রাত ১১টায় আরেকটি শুভযাত্রা বাসের হেলপার কাকন এবং তার মামাতো ভাই আরব আলীও বাসে প্রবেশ করে ঘুমিয়ে পড়ে।
হঠাৎ খাইরুল ইসলামের শরীরে তাপ লাগলে সে তাড়াহুড়া করে ঘুম থেকে উঠে দেখতে পায় যে, বাসের ড্রাইভিং সিটের পিছনে আগুন লেগেছে। তিনি জীবন বাঁচাতে বাসের জানালা খুলে বাস হতে লাফ দেন। তিনি বাস হতে নামার সাথে সাথেই কাকনও বাস হতে জানালা দিয়ে লাফ দিয়ে নেমে যায় কিন্তু আরব আলী ভিতরে আটকা পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে পাশে থাকা ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম এসে বাসের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় আরব আলীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত বাসের হেলপার মো. খাইরুল ইসলামের অভিযোগের ভিত্তিতে বংশাল থানায় একটি মামলা করা হয়।
বংশাল থানা সূত্রে আরও জানা যায়, এ ঘটনায় মামলার প্রেক্ষিতে বংশাল থানার একটি দল ১৮ মে ভোরে মুগদা থানার দক্ষিণ মান্ডা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার তথ্য অনুযায়ী, আসামি দ্বীন ইসলাম, আমির হামজা, মো. আকাশ রহমান তানভীর, শুভ এবং অজ্ঞাতনামা কয়েকজন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পেট্রল ঢেলে বাসে আগুন ধরিয়ে হত্যার চেষ্টা ও সম্পত্তির ক্ষতিসাধন করে। এতে নগদ ১৩ হাজার ২০০ টাকা এবং বাসের সিট ও জানালা পুড়ে প্রায় দুই লাখ ৫০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।
গ্রেপ্তারদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মন্তব্য করুন